ভোলার নিম্ন আয়ের মানুষদের কিছুটা শীতের হাত থেকে রক্ষা করতে রাতে বেড়িঁবাধ ঘুরে ঘুরে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণ করেছেন ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান। গত শনিবার রাতে ভোলার ধনিয়ার কোরারকাট বেড়িঁবাধ, শিবপুর শান্তিরহাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দুই শতাধিক পরিবারের মধ্যে নিজে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল তুলে দেন।
এসময় তিনি বেড়িঁবাধে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষের খোঁজ খবর নেন। এ সময় আবেগে আপ্লুত হন অনেক বেড়িঁবাধ এলাকার অসহায় শীতার্তরা। তীব্র শীতের মধ্যে শীতবস্ত্র পেয়ে খুশিতে আত্মহারা বেড়িঁবাধ এলাকার অসহায় মানুষগুলো।
কম্বল পাওয়া ধনিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কোররাহাট এলাকার রিকসাচালক আবুল বাশার বলেন, আমি রিকশাচালক। রাত হলে ছেলে মেয়ে নিয়ে শীতে খুব কষ্ট করি। রোজগার করে যে টাকা পাই তাদিয়ে একটা ভালো কম্বল কিনার সাধ্য নেই। অনেকের কাছে একটা কম্বল চাইছিলাম কেউ দেয়নি।
আজ ডিসি স্যার আমার বাড়িতে এসে নিজে শীতবস্ত্র দিয়েছেন। এটা আমার জীবনের সব থেকে বড় পাওয়া। মনে হয় আল্লাহ আমার চাওয়া কবুল করছে। এখন রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারব।
ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, গত কয়েকদিন ধরে খুব কনকনে শীত পড়েছে। এই জেলায় ছিন্নমূল মানুষের পাশাপাশি বেড়িঁবাধ এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাস করে থাকেন। শীত বেড়ে যাওয়ায় এসব মানুষ শীতে অনেক কষ্ট পাচ্ছে। তাই তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার জন্য এই শীতবস্ত্র নিয়ে নিজে ছুটে এসেছি তাদের কষ্ট লাঘব করার জন্য।
আমরা এ বছর দুযোর্গ ব্যবস্থপনা মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভান্ডার থেকে ৪৩ হাজার ৫শ কম্বল পেয়েছি। যেগুলো আমরা উপজেলা ও ইউনিয়নভিত্তিক বিভাজন করেছি। ইতোমধ্যে স্ব-স্ব উপজেলা দুস্থ ও শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেছে। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রিপন কুমার সাহা, ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সজল চন্দ্র শীল, ভোলা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (নেজারত শাখা) মো. আবু সাঈদ, সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ জিয়াউল হকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
টিএইচ