বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

ভ্যাপসা গরম ও বন্যার ভোগান্তিতে সিলেটবাসী

সিলেট ব্যুরো

ভ্যাপসা গরম ও বন্যার ভোগান্তিতে সিলেটবাসী

একদিকে অসহনীয় ভ্যাপসা গরম, অন্যদিকে বন্যা। এ অবস্থায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গত রোববার থেকে সিলেটে শুরু হয় বৃষ্টি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছিলো টানা হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি। 

তবে গত শুক্রবার থেকে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। শনিবার (০১ জুন) সেটি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। শনিবার (০১ জুন) বিকাল ৪টায় সিলেটে ছিলো ৩৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা। তবে গরম ভ্যাপসা হওয়ায় বেড়েছে কষ্টের মাত্রা।

অন্যদিকে, সিলেট মহানগরের অন্ততঃ ১৫টি এলাকা ও জেলার ৭টি উপজেলা বন্যাকবলিত। তবে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে ঢল বন্ধ হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
সুরমা নদীতে পানি বাড়ায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে সিলেট মহানগরে হঠাৎ বাড়তে শুরু করে পানি। 

গত শুক্রবার সকাল পর্যন্ত নগরের ১৫টি এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। এতে অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। নগরের তেরোরতন, সাদারপাড়, সোবহানীঘাট, কুশিঘাট, শাহজালাল উপশহর, তালতলা ও জামতলা এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এসব এলাকার রাস্তা তলিয়ে গেছে। তালতলা এলাকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনেও পানি ঢুকেছে। বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকের আসবাবপত্র নষ্ট হয়েছে। এ অবস্থায় অনেকে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন।

সিসিক সূত্র জানায়, সুরমা নদীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী বিভিন্ন ছড়া ও খাল দিয়ে পানি ঢুকে নগরের অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দী। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় নগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে কিশোরীমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। 

এছাড়া বিদ্যালয়ের পাশের একটি পাঁচতলা ভবনে ৪০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। অন্য ওয়ার্ডেও আশ্রয়কেন্দ্র চালুর প্রস্তুতি চলছে। আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়েছে।

এর ৩-৪ দিন আগ থেকে ভারতের উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামছে। পাশাপাশি সিলেটে ভারী বৃষ্টিও হচ্ছিলো। এতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয় জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলা। মূলত জেলার প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারাসহ অন্য নদ-নদীর পানি উপচে একের পর এক এলাকা প্লাবিত হয়। ডুবে যায় ফসলের খেত, ভেসে যায় পুকুরের মাছ। অসংখ্য বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে। তবে শনিবার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, বন্যা পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাশন মাঠে কাজ করছে ও বন্যা কবলিত এলাকায় আশ্রয় সেন্টারে ত্রাণ ও ওষুধসামগ্রী প্রেরণ করা হয়েছে।

টিএইচ