পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ভূমি অফিস-সংলগ্ন ডিসিআরকৃত জমির দোকান বিনানোটিসে অবৈধভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ডিসিআর মালিক মো. আব্দুল হাই জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. মোস্তফা কামালের মাধ্যমে মঠবাড়িয়া ইউএনওসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নোটিস প্রদান করেছেন।
অন্যান্য কর্মকর্তারা হলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি), নাজির ও ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া। বুধবার (৩ জুলাই) ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. আব্দুল হাই বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
উকিল নোটিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের মৃত. লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলে আব্দুল হাই শহরের অকৃষি সরকারি ভিটি কেস নং ৫ (এম) ৭৫-৭৬ অনুবলে লিজ নিয়ে আধাপাকা দোকান উত্তোলন করে ৫০ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু কোনোপ্রকার নোটিস ছাড়াই গত ২৫ জানুয়ারীি ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এতে দোকান মালিকের ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. আব্দুল হাই বলেন, ১৯৯৮ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব স্বাক্ষরিত একটি আদেশে উল্লেখ করেন, বৈধ লাইসেন্স ধারীদের বিকল্প পজিশনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করা যাবে না।
তিনি ক্ষোভের সঙ্গে আরও বলেন, আমি লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করলে ভূমি অফিসের নাজির মো. রাসেল মিয়া আমার পজিশনের অর্ধেক দাবি করেন। এবং ভূমি উপসহকারী সাইদুর রহমান আড়াই লাখ টাকা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত সুবিধা না দেয়ায় গত দুবছর আগে আমাকে ঘুরাইতে থাকেন। এক পর্যায় বিনানোটিসে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি গুঁড়িয়ে দেয়।
এ প্রসঙ্গে নাজির মো. রাসেল মিয়া ও ভূমি উপসহকারী সাইদুর রহমান, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল কাইয়ুম বলেন, এ সংক্রান্ত কোনোপ্রকার নোটিস তিনি পাননি। ইউএনও আরও বলেন, সরকারের বিধি ও নিয়মের বাইরে কোনো কাজ করার সুযোগ নেই।
টিএইচ