শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

মঠবাড়িয়ায় জাপা নেতাকে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্নের মামলা তদন্তে পিবিআই

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি

মঠবাড়িয়ায় জাপা নেতাকে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্নের মামলা তদন্তে পিবিআই

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে জাপা (এরশাদ) নেতা শফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে বাম পা বিচ্ছিন্ন ও হত্যাচেষ্টা মামলা পুণরায় তদন্ত করছেন পিবিআই। পিবিআই ইন্সেপেক্টর আহসান কবির গত বৃহস্পতিবার মঠবাড়িয়া-তুষখালী সড়কের মাঝেলপুল ফরাজী বাড়ির সামনের প্রধান সড়ক ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকা পরিদর্শন ও তথ্য সংগ্রহ করেন।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর একটি মামলার হাজিরা দিতে মোটরসাইকেলযোগে মঠবাড়িয়া আদালতে যাবার পথে মাঝেলপুল ফরাজী বাড়ির সামনে পৌঁছলে শফিকুল ইসলামের গাড়িচালক বাবু ও তাদের সঙ্গে থাকা সুমন কৌশলে মোটরসাইকেল থামান। মূহুর্তেই হামলাকারীরা একটি মাহিন্দ্রযোগে কাছে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে ভুরি বের করে ও পা বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে যায়।

নৃশৃংস এ হামলার ঘটানায় শফিকুল ইসলামের মা মমতাজ বেগম বাদি হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই মো. নাছির হোসেন হাওলাদার ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. সগির হোসেন হাওলাদার ওরফে ছগির মেম্বরসহ ৯ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত ৩ জনের বিরুদ্ধে ২৯ সেপ্টেম্বর ২২ রাতেই মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা করেন।

ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম বলেন, আহতাবস্থায় আমি তৎকালীন মঠবাড়িয়া থানার ওসি  নূরুল ইসলাম বাদলসহ পরিচিত আসামিদের নাম বলেছিলাম। আমি বেঁচে যাব এটা আমিসহ কেউ ধরণা করেনি, আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন, তবে আমি পঙ্গু।

ওসি বাদল ঘটনার দু‘দিন আগে আমাকে হাত-পা কেেঁট দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। আমার মা মামলা করার সময় ওসিকে আসামি করার জন্য বলেন কিন্তু ওসি নিজে চালাকি করে সুবিধামতো মামলাটি গ্রহণ করেন।

পিরোজপুর জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিষ্টিগেশন (পিবিআই) ইন্সেপেক্টর আহসান কবির বলেন, আদালতের আদেশে কর্তৃপক্ষ আমাকে মামলাটি পুণরায় তদন্তের দায়িত্ব দেন। গত বৃহস্পতিবার মামলার ডকেট হাতে পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাই। মামলাটি অত্যান্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হবে।

টিএইচ