শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

মদনে পাউবোর খননকৃত মাটি বিক্রির অভিযোগ

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি  

মদনে পাউবোর খননকৃত মাটি বিক্রির অভিযোগ

নেত্রকোনার মদনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খনন করা প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। 

স্থানীয়দের দাবি লক্ষ লক্ষ টাকার মাটি নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী কয়েকজন। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে হলহলিয়া খালের মাটি নেয়ার ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি। 

জানা গেছে, মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের পাহারপুরের মধ্য দিয়ে মগড়া নদী থেকে হাওরে পানি প্রবাহের জন্য হলহলিয়া খাল ২০২১ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড খনন করেন। প্রথম দফা ২০২১ সালে খননের একাংশের মাটি ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেই মাটি এক সপ্তাহের মধ্যেই সরিয়ে নেন ইজারাদার। 

কিন্তু গতবছর ডিসেম্বরের ২১ তারিখ থেকে চলতিবছর জানুয়ারি ১৬ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ২৭ দিন ধরে (চলমান) মাটি তুলে বিক্রি করছেন একটি প্রভাবশালী মহল। এদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তথাকথিত একজন সাংবাদিক। প্রতিদিন হললিয়া খালের পাড় থেকে আটটি গাড়ি দিয়ে মাঠি নিয়ে যাচ্ছে। 

প্রতিটি গাড়ি দিনে ১৫-২০ টিপ মাটি নিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেক গাড়ি মাটি ৮শ টাকায় বিক্রি করেন। ওই হিসেবে প্রতিদিন ১২০-১৬০ গাড়ি মাটি নিয়ে যাচ্ছেন অসাধুচক্র। যার মূল্য ৯৬ হাজার থেকে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। 

ওই ২৭ দিনে ২৫ লাখ ৯২ হাজার থেকে ৩৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকার মাটি বিক্রি করেছে অসাধুচক্র। উপজেলা প্রশাসনকে এলাকার জনসাধারণ ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার ডিজিএফআইয়ের মদনের দায়িত্ব পালনকারী ব্যাক্তি ও স্থানীয় সাংবাদিকরা জানালেও মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম মিয়াকে জানিয়েছেন। 

হলহলিয়া খালের মাটি বিক্রয়কারীদের একজন সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা ইউএনও স্যারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মাটি বিক্রি করছি। তিনি বলেছেন লিখিত লাগবে না আমি বলেছি এখানে কেউ যাবে না।  

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্য সহকারী এনামুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারের নির্দেশে হলহলিয়া খালে গিয়ে মাটি কাটার বিষয়টি দেখি। পরে স্যারকে এ বিষয়ে জানাই। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, হলহলিয়া খালের মাটি কাটার বিষয়টি আমার আগের ইউএনও  নিলামে বিক্রি করেছিল। আপনাদের একজন সাংবাদিক এখানে জড়িত এ বিষয়টি আপনারা সবাই জানেন। আপনার আগের স্যারের নিলামের সময়সীমা পার হয়ে গেছে তাহলে এখন কিভাবে মাটি বিক্রি করছে? এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান।

টিএইচ