ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীর ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহ্ আসাদুজ্জামান তপনসহ দুই মেম্বার পলাতক রয়েছেন। তাদের আটকের জন্য খুঁজছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার রাতে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বিষয়টি জানিয়েছেন। এদের মধ্যে উজ্জল কুমার বিশ্বাস ও বিনয় সাহা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ সুপার জানান, এদের ১৬৪ ধারায় নাম উঠে এসেছে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের বুধবার (২৪ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করো অপরাধের ধরন অনুযায়ী আলাদা আলাদা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করাও হয়েছে। বাকিদের অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে। সুতরাং, এ মামলায় মানুষের উত্তেজিত হওয়ার কোনো বিষয় নেই।
তিনি বলেন, একটি ভিডিও ফুটেজে ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ্ আসাদুজ্জামান তপন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অজিত কুমার সরকার ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার লিংকনকে দেখা গেছে। তারা এখন পলাতক আছে, আমরা তাদের খুঁজছি। খুব দ্রুতই তাদের আমারা গ্রেপ্তার করব। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে আজও পুলিশ কিছু জানায়নি।
১৬৪ ধারায় দুই আসামির স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরও বলেন, তারা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন শ্রমিকরা স্কুলঘরে ছিল। তাদের সামনেই অনেকে শ্রমিকদের মারধর করে, কেউ কেউ ইট ছুড়ে মারে। শ্রমিকদের মারধরের কারণ হিসেবে আসামি দুজন বলেছে, তারা আগুন দেয়ার কথা শুনেছে, শ্রমিকরা যে আগুন দিয়েছে এ রকম কেউ দেখেনি। সন্দেহ করে শ্রমিকদের বেঁধে রাখা হয়।
এদিকে সন্দেহের বশে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। মানববন্ধন ও বিক্ষোভের ঘটনায় সরকারি কাজে বাঁধা ও সম্পদ ক্ষতিসাধনের অপরাধে মামলা হবে।
টিএইচ