যশোরের সাগরদাঁড়িতে বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ আধুনিক বাংলা কাব্যের রূপকার অমিত্রাক্ষর ছন্দের জনক ও সনেট প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৯ দিনব্যাপী মধুমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
গত শুক্রবার মেলার মূল ফটকে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-এর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়ার প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে এখন মুড়ি মুড়কির মত বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এখানে মাইকেল মধুসূদনের নামে একটি সংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার সাহিত্য কর্মে দেশাত্মবোধকে জাগরুক করেছেন, বাংলা সাহিত্যে রুপায়ন সৃষ্টিতে তিনি অনন্য। তার গভীর দেশাত্মবোধ আজকের বাংলাভাষা। ফ্রান্সে বসেও তিনি কপোতাক্ষ নদের কুল কুল ধ্বনি শুনেছেন। রচনা করেছেন শৈশবে বেড়ে ওঠা কপোতাক্ষ নদকে ঘিরে সাহিত্য সম্ভার।
মধু মেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাসান মজুমদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ড. শওকত আরা হোসেন, যশোর -৫ আসনের এমপি মো. ইয়াকুব আলী, যশোর- ৬ আসনের এমপি খন্দকার আজিজুল ইসলাম, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন, যশোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহামুদ হাসান প্রমুখ।
মধুমেলা উদযাপনে মেলার মাঠে কঠোর নিরাপত্তা বলয় থাকছে। মেলাকে আকর্ষনিয় করে তুলতে সার্কাস, যাদু, মৃত্যুকুপ, ভ্যারাইটি শো, বিসিক স্টল, মনোহারি ও শীতের কাপড় বিক্রির স্টল। এছাড়া প্রতিদিন মধু মঞ্চে থাকছে যাত্রা, সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিদ্বগ্ধ জনদের কবির জীবনীর উপর আলোচনা।
টিএইচ