সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

মসিক মেয়র প্রার্থী টিটুর ২৩ দফা ইশতেহার ঘোষণা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি 

মসিক মেয়র প্রার্থী টিটুর ২৩ দফা ইশতেহার ঘোষণা

আগামী ৯ই মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে মেয়র প্রার্থী মো. ইকরামুল হক টিটু ময়মনসিংহ সিটিকে একটি আধুনিক স্মার্ট ও মডেল সিটিতে রূপান্তর করার প্রত্যয়ে ২৩ দফা ইশতেহার উপস্থাপন করেছেন। 

গত রোববার প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সামনে তার নির্বাচনি ইশতেহার তুলে ধরেন। যানজট নিরসনের উপর গুরুত্ব দিয়ে ইশতেহারে টিটু বলেন, নগরীর প্রধান সমস্যা যানজট নিরসনে সড়ক প্রশস্তকরণ এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ওভারপাস বা ফ্লাইওভার নির্মাণ, ট্রাফিক বিভাগের জনবল বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ প্রদান ও আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনে সকল বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ, নগরীর প্রবেশদ্বারের কাছে ৩ টি বাস ও ১ টি ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, নগরবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে চলমান রাস্তাসমূহ পাকাকরণ প্রকল্প দ্রুত শেষ করা ও নতুন পুরাতন সকল ওয়ার্ডের সমস্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও কালভার্ট দ্রুত নির্মাণ করা হবে। 

নগরীর জলবদ্ধতা নিরসনের উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, নগরীর খালসমূহ দখলমুক্ত করনের মাধ্যমে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি ও চলমান ড্রেনেজ নির্মাণ প্রকল্প দ্রুত শেষ করা হবে। বাসা-বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়ে নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি ও ট্রেড লাইসেন্স ফি যুক্তিসঙ্গত ও সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং সিটি করকে আরো সহনীয় করতে নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। 

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে টিটু বলেন, পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত নগরী করার লক্ষ্যে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নির্মাণাধীন প্ল্যান দ্রুত বাস্তবায়ন ও অন্যান্য কার্যক্রম  সমূহ আরও জোরদার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, পাশাপাশি নগরীর সর্বত্র দুষণরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ। 

এছাড়াও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়াধীন প্রস্তাবটি দ্রুত অনুমোদনের মাধ্যমে বর্জ্য মুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বিভিন্ন অপরাধ, অপতৎপরতা রোধ করতে নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে চলমান সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্প দ্রুত শেষ করা হবে। 

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা সুষ্ঠু বন্টন নিশ্চিত করাসহ বেকারত্ব রোধে নারী- তরুণদের নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে এবং নাগরিক সেবা আরও সহজলভ্য করতে প্রস্তাবিত আধুনিক নগরভবন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন ও নাগরিক সেবা সমূহ ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সবুজ নগরায়নের লক্ষ্যে রাস্তার দু'পাশে খোলা জায়গায় পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ, জলধার নির্মাণ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। 

নগরবাসীর সু-চিকিৎসা নিশ্চিতে চারটি নাগরিক সেবাকেন্দ্রের পরিধি বৃদ্ধি ও দুটি নির্মাণাধীন হাসপাতালের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। বেকারত্ব রোধে নগরীকে শিল্প ও পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট, উৎসাহ ও সহায়তা প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। 

বর্ধিত নতুন এলাকাসমূহে নগর বিন্যাসের পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে আগামীতে নগরীকে স্বাচ্ছন্দময় করে গড়ে তোলা হবে। তারুণ্যের বিকাশে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্লাব গঠন, পর্যাপ্ত খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত মঞ্চ তৈরি করণে সহযোগিতা প্রদান করা হবে। 

বিভাগীয় সাংস্কৃতিক পল্লী নির্মাণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রস্তাবিত শেখ রাসেল শিশু পার্ক প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন ও বিপিন পার্ক আধুনিকায়ন করা হবে। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কবরস্থান, শ্মশান ঘাট সমূহ আরও সুবিধা সম্বলিত উন্নত করণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যুবসমাজকে মাদক সেবন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করা হবে। সিটি কর্পোরেশনে বিদ্যমান পাঁচটি অনলাইন সেবাসমূহ ছাড়াও অন্য সেবা ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে নাগরিকদের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেয়া এবং ৩৩ টি ওয়ার্ডে স্মার্ট কর্নার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এবং বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে নাগরিকদের সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আ.লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা, প্রিন্ট- ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

টিএইচ