মানুষের সাথে হুনুমানের সঙ্গ। আগে মানুষ দেখলে হনুমান পালাতো আবার মানুষ হনুমান মারার চেষ্টা করতো। এখন তার ব্যতিক্রম। মহেশপুর উপজেলার ভবনগর গ্রামসহ ওই এলাকায় প্রায় আড়াই শো কালো মুখো হুনুমান রয়েছে।
গত বুধবার ভবনগর তালসা শ্যামকুড়সহ বিভিন্ন স্থানে পরিদর্শন করলেন এএসএম জহির উদ্দিন আকন সিএফ সামাজিক বন অঞ্চল যশোর, মো. আবুল কালাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সামাজিক বনবিভাগ যশোর। খন্দকার গিয়াস উদ্দিন সহকারী বন সংরক্ষক ঝিনাইদহ, মো. শফিকুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা সামাজিক বনবিভাগ কোটঁচাদপুর।
গত ২ বছর ধরে বনবিভাগ হুনুমানের খাবার সরবরাহ করছে। যা যৎসামান্য এই খাবারে কিছুই হয়না। খাবারের মধ্যে পাকা কলা ১৬ কেজি ২০০ গ্রাম কাচা বাঁদাম ২ কেজি ৪০০ গ্রাম, পাউরুটি ২ কেজি সিজিনাল সবজি ২ কেজি ৪০০ গ্রাম যা ২৫০টি হুনুমানে জন্য অপ্রতুল। ২০২১ সালে সিসিএফ মো. আমির হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশ প্রধান বন সংরক্ষক ভবনগর এসে তিনি হুনুমান দেখে খাদ্যের ব্যবস্থা করেন।
সেই থেকে বনবিভাগের মাধ্যামে হুনুমানের খাবারের ব্যবস্থা চলমান আছে। হুনুমানের খাবার দেয়া দেখাশোনা ও চিকিৎসা সব কিছু দেখাশোনা করেন ভবনগর গ্রামের পশুপ্রেমি নাজমুল। এএসএম জহির উদ্দিন আকন হুনুমান পরিদর্শন করে জানান, হুনুমানের যাবতীয় সমস্যা ও খোজখবর তিনি রাখবেন।
এলাকাবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বন্যপ্রাণি প্রকৃতির অলংকার আপনারা এই হুনুমানগুলোর উপর অত্যাচার করবেন না। এলাকাবাসীসহ নানা মহলের মানুষ খাদ্য বাড়ানোর জন্য জোর দাবি জানিয়েছে কতৃপক্ষের কাছে।
টিএইচ