সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পিস্তলসহ মাগুরার ছাত্রলীগ নেতা শাহিন খানকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাত পোনে ১০টার দিকে মাগুরা সদর উপজেলার আলোকদিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়ে। এ সময় তার ব্যবহৃত পিস্তল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা গেছে, শাহীন শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার লুৎফর রহমানের ছেলে এবং মাগুরা আদর্শ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. সেকেন্দার আলী জানান, বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মাগুরা স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রলীগের মধ্যে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ের সংঘর্ষে পিস্তলসহ শাহিন খান নামে এক যুবকের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ভাইরাল হওয়া যুবক শাহিনকে শনিবার দিবাগত রাত পোনে দশটার দিকে মাগুরা সদর উপজেলার আলোকদিয়া ব্রীজের উপর থেকে মাগুরা সদর থানার একটি চৌকস দল গ্রেপ্তার করেছে। তিনি আরো বলেন, এ মামলায় অন্য আসামি ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম জানান, আগ্নেয়অস্ত্রসহ ভাইরাল যুবক ছাত্রলীগের কেউ না। আমরা তাকে কেউ চিনতেও পারি নাই। ছাত্রলীগের ভাব মুর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য যে কেউ এটা করে থাকতে পারে। আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।
শনিবার দুপুরে মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদ ও সদস্য সচিব আকতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মী সমাবেশে যোগদানের উদ্দেশে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসলামপুর পাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা জমায়েত হতে থাকে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কেশব মোড় এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদাক হাসুর নেতৃত্বে একটি মিছিল চৌরঙ্গীমোড় অতিক্রম করার সময় ছাত্রলীগে সন্ত্রাসীরা মিছিলে হামলা করে। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিলের উপর ছাত্রলীগের হামলায় শাহিন পিস্তল দিয়ে গুলি করে।
মিডিয়াতে তা ভাইরাল হলেও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শেখ রিয়াদ বিএনপির ১০৫ জন নেতাকর্মীর নাম ও অজ্ঞাত তিন শ’ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করে উল্টা বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে।
টিএইচ