দেশজুড়ে পলিথিন উৎপাদকদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ সচিব তপন কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেছেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় ৩ নভেম্বর থেকে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাদের আর ছাড় দেয়া যাবে না।’
এ বিষয়ে সব জেলা প্রশাসক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মাগুরার শ্রীপুরের বিভিন্ন বাজারে অবৈধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে চালনো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। গত শুক্রবার দুপুরে খামারপাড়া বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জি।
এ সময় খামার পাড়া বাজারে সাহা স্টোর এবং শিকদার স্টোরে অবৈধ পলিব্যাগ রাখায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে দুই হাজার টাকা এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়াও বাণিজ্যিক স্টোরে শিশু খাদ্য বিক্রির লাইসেন্স না থাকা এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ভোক্তা সংরক্ষণ আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দোকান থেকে জব্দকৃত অবৈধ পলিথিন ফাঁকা জায়গায় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে পোড়ানো হয়। অভিযান শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) রাখী ব্যানার্জী বলেন, বাংলাদেশে আগে থেকেই পলিথিন নিষিদ্ধ ছিল। আমরা ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু করেছি।
মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, পলিথিন এমন একটি পদার্থ, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক এবং পরিবেশদূষণের উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই পলিথিন কোনোভাবেই বাজারে থাকবে না। পলিথিন ও পলিপ্রপাইলিনের তৈরি শপিংব্যাগ উৎপাদন ওবাজারজাতকরণ আইনত নিষিদ্ধ।
নিষেধ ও বাধা উপেক্ষা করে যদি কেউ পলিথিন ব্যাগ ক্রয় বিক্রয় করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রত্যেকে বাজারে আসার সময় একটি করে পাটজাত বা অন্য কোনো ব্যাগ নিয়ে আসবেন।
টিএইচ