ভারী বৃষ্টিপাতে মাগুরা পারনান্দয়ালী ফিলিং স্টেশনের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া মহাসড়কের পাশে তিনটি গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। হা করে থাকা ১০ ফুট গর্তের চারপাশে নেই কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী। মহাসড়কের ৩টি গর্তই বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে যানবাহন ও যাত্রীদের চলাচলে।
কিন্তু এটি মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১৩ অক্টোবর) মহাসড়কের পাশ থেকে দেখা গেছে, দ্রুতগামী যানবাহনগুলো দ্রুততার সাথেই চলছে মহাসড়কে। দ্রুতগতিতে চলা যানবাহনের চালকরা লুকায়িত গর্তগুলো দূর থেকে উপলব্ধি করতে পারছেন না। গর্তের কাছে আসলেই আতঙ্কিত হয়ে ডাইনে বা বামে কাটিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন গর্ত।
বৃহৎ আকৃতির এই গর্ত যানবাহন চলাকালীন চোখে পড়তেই ব্যাপকভাবে আতঙ্কিত হচ্ছেন ড্রাইভার ও পথচারীরা। দ্রুতগামী যানবাহনের সামনে ও পেছনের চাকা গর্তের মধ্যে পড়লে পানিতে ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। দীর্ঘ আকৃতির গর্তের, দুই পাশেই রয়েছে কেনাল, আর এই কেনালে রয়েছে গভীর পানি। চালকরা অসাবধানতাবশত দ্রুতগতিতে গর্ত পার হতে গেলেই পানিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাগুরা, ঝিনেধাহ, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গাসহ দক্ষিণবঙ্গের হাজারো গাড়ি প্রতিদিন চলাচল করে এই ব্যস্ততম মহাসড়ক দিয়ে। পারনান্দয়ালী মহাসড়ক সংলগ্ন শান্তি পাড়া স্থানীয় এলাকাবাসী আবুবকর মোল্লা জানান, কয়েক মাস আগেও গর্ত ছোট ছিল।
টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে গর্ত তিনটি আকার অনেক বড় হয়ে গেছে। গর্তের পাশেই আবার গভীর জলাশয়, যা কিনা যানবাহন ও পথচারীদের জন্য বিপজ্জনক। এ কয়েক দিনে গর্তে পড়ে একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে।
মহাসড়কে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহন ড্রাইভার সাইফুল ইসলাম জানান, মাগুরা পারনান্দয়ালী-ঢাকা মহাসড়কে বিগত কয়েক মাস আগে কয়েকটি ছোট গর্ত দেখেছিলাম, দিন যাচ্ছে গর্তগুলো বড় হচ্ছে। আমার মনে ভয় নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়, যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
মহাসড়কের পাশে তেলপাম্প থাকায় যানবাহন প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়া করে সামনে থেকে আসা যানবাহনের আলোর কারণে রাতে গর্ত দেখা যায় না। রাতে এটি আরও ঝুঁকি বাড়ায়। দক্ষিণবঙ্গের যাবতীয় গাড়ি পাটুরিয়া ঘাট এবং পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকাসহ অন্য বিভাগে যায়। চলন্ত যানবহন হঠাৎ করে গর্তের মধ্যে পড়লে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। আমরা চাই দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হোক।
এ ব্যাপারে রোববার (১৩ অক্টোবর) মাগুরা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সদ্য যোগদান করা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, (গর্ত) বা দুর্ঘটনা কবলিত স্থান দ্রুত মেরামত করা হবে।
টিএইচ