পার্বত্য এলাকায় স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে যামিনীপাড়া জোন (২৩ বিজিবি) সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) যামিনীপাড়া জোনের (২৩ বিজিবি) কমান্ডার লে. কর্নেল আলমগীর কবির, পিএসসি আর্থিক ও বিভিন্ন রকমের নির্মাণসামগ্রী অনুদান প্রদান করেন।
যামিনীপাড়া জোনের আওতাধীন দুস্থ ও অসহায় তাইন্দং ইউপির সুনীল ত্রিপুরা, তবলছড়ি ইউপির মনোয়ারা বেগম, তবলছড়ি ইউপির হালিমা খাতুন, চাই থৈয়াই মারমা, বড়নাল ইউপির মো. হাবিল, কাগদ্রুতি ত্রিপুরা, দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবার নিয়ে পুরাতন ও ভাঙ্গা ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে।
তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জোন থেকে ১২ বান ঢেউটিন অনুদান দেয়া হয়। ডাকবাংলা ফুলকুঁড়ি বিদ্যানিকেতন এবং তবলছড়ি ইসলামিয়া (ফাযিল) মাদ্রাসার অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ০২ বান করে মোট ০৪ বান ঢেউটিন অনুদান প্রদান করা হয়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুজন অসুস্থ ৬ ব্যক্তির চিকিৎসা এবং দুস্থ ও অসহায় ৬ ব্যক্তিকে মোট ৩৮ হাজার ৫শ টাকা নগদ প্রদান করেন।
এছাড়াও সার্বজনীন শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং মইদাছড়া পাড়া বিলিভার্স চার্চ ও মরাটিলা শিব মন্দির সংস্কার বাবদ মোট ৩০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। তবলছড়ি গ্রীন হিল কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে ০৫ সেট পাঠ্যপুস্তক এবং যামিনীপাড়া বর্ডার গার্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্টাফদের বেতন বাবদ ৪০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়।
প্রতি মাসের ন্যায় এ মাসেও আওতাধীন এলাকার ০৫টি মাদ্রাসায় ৩৫০ কেজি চাল এবং ৫০ কেজি চিনি বিতরণ করেন। এছাড়াও ব্যাটালিয়ন সদর হতে স্থানীয় ৫০ জন এবং অধীনস্থ ০৫টি বিওপি হতে ১১০ জনকে বস্ত্র সহায়তা প্রদান করা হয়। মোট ২ লাখ ০৭ হাজার ১শ টাকার অনুদান প্রদান করেন এবং সর্বমোট সুবিধাভোগীর সংখ্যা ২৫৯১ জন (পাহাড়ি-১৪৮৭ জন এবং বাঙালি-১১০৪ জন)।
টিএইচ