শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

মাদকের বিরুদ্ধে দরকার সামাজিক আন্দোলন : ডিআইজি আশরাফ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

মাদকের বিরুদ্ধে দরকার সামাজিক আন্দোলন : ডিআইজি আশরাফ

‘মাদক কেনা-বেচা করে অর্থ পাচারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৫ম। কিশোর এবং তরুণদের মধ্যে মাদকে আসক্তের পরিমাণ অত্যধিক, যাদের বয়স ১৫ থেকে ৩০ এর মাঝে। তাই আমরা এসেছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। তাই এই ভয়ংকর মাদকের বিরুদ্ধে দরকার সামাজিক আন্দোলন।’

শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আয়োজিত মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান।

এ সময় তিনি মাদকাসক্তির কারণ, সামাজিক কুফল— প্রভাব, মাদক সেবনের শাস্তি, প্রতিরোধের উপায় ও উত্তরণের নানান দিক আলোচনা করে বিভিন্ন ডকুমেন্টারি ও স্লাইড প্রদর্শনের পাশাপাশি উপস্থিত সকলকে মাদকের বিরুদ্ধে শপথ বাক্য পাঠ করান।

‘মাদকমুক্ত দেশ গড়ি, মাদককে না বলি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পুলিশ ময়মনসিংহ রেঞ্জের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সাড়ে ১১টায় বাকৃবির শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত)  মো. আজিজুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো—অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কেবল শিক্ষার্থী ভর্তি নয়, শিক্ষক নিয়োগেও ডোপ টেস্ট আমরা বাধ্যতামূলক করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের কোন স্থান নেই।’

জেলা পুলিশ সুপার  মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘মাদক সেবনকারী, মাদক চালানকারী, মাদক উৎপাদনকারী, মাদক ব্যবসায়ী ও ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ অর্থ উপার্জনকারী ব্যক্তিবর্গকে আইনের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।

টিএইচ