শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post
এক বেডে ৪ শিশুর চিকিৎসা

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চরম ভোগান্তিতে শিশু চিকিৎসা

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চরম ভোগান্তিতে শিশু চিকিৎসা

প্রচন্ড তাপদাহ অব্যাহত থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে মাদারীপুরের শিশু রোগীরা। প্রচন্ড গরমে শিশু ওয়ার্ডে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শতাধিকের বেশি শিশু। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা কম থাকায় একটি বেডে একজনের পরিবর্তে থাকছে চারজন শিশু। অনেকে আবার বেড না পেয়ে হাসপাতালেল মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা শিশু ও অভিভাবকরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। 

জানা গেছে, সদর হাসপাতালটি কাগজে-কলমে আছে ২৫০ শয্যা। বাস্তবে একশ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে হাসপাতালের নামে মাত্র ২৫০ শয্যার কার্যক্রম। গত দেড় মাসে ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠা নামা করছে মাঝে একটু কম হলেও এখন সেই আগের মত প্রচন্ড গরমের কারণে জেলার শিশুরা অসুস্থ্য হয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শিশু ওয়ার্ডে আসন সংখ্যা ৪৭, ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে ৩০ জনের স্থানে অনেক বেশী রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। 

নামে মাত্র ২৫০ শয্যা হাসপাতালে গুণগত মান না থাকলেও রোগী থাকে তিনশতাধিকের বেশী। তাই অনেক রোগীকে ফ্লোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে। আর পুরনো ১০০ শয্যার জনবল ও যন্ত্রপাতি দিয়েই চলছে রোগীদের চিকিৎসাসেবা। সেই ১০০ শয্যায় নেই পর্যাপ্ত পরিমান চিকিৎসক, নার্স, নেই উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা।

এক শিশু রোগীর মা জানান, হাতপাতালটির গায়ে লেখা আছে ২৫০ শয্যা। বাস্তবে কার্যক্রম নেই ১০০ শয্যার। আমার ছেলে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে এসে দেখি এক বেডে চারজন শিশু ভর্তি আছে। একজনের বেডে চারজন অসুস্থ্য শিশু নিয়ে কিভাবে থাকবো। খুবই কষ্ট করে ছেলেকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা নিচ্ছি। চরম ভোগান্তিতে শিশু ও অভিভাবকরা।

আরেক শিশু রোগীর নানু জানান, ছোট নাতনি শিশু নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছি। এখানে এসে দেখি হাসপাতালের খুবই খারাপ অবস্থা। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ। বেডে শিশু থাকার জায়গা নেই। বেড না পাওয়ায় হাসপাতালের মেঝেতে পাটি বিছিয়ে শিশুর চিকিৎসা নিচ্ছি। শিশু ওয়ার্ডের জন্য আরো বেশি বেড, ভালো ডাক্তার, নার্স দরকার। 

মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমেদ খান বলেন, আমাদের হাসপাতালে বেডের চেয়ে রোগী বেশী থাকায় ফ্লোরে রাখতে হচ্ছে তবে বিল্ডিংয়ের বাহিরে তাঁবু টানিয়ে চিকিৎসা দেয়া লাগছে না, হাসপাতালের ভিতরেই ফ্লোরে রাখতে পারছি। এখানে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা সবসময় বেশি থাকে। সেবার মান সম্পর্কে সিভিল সার্জন বলেন, ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে ২৫০ শয্যার কর্যক্রম। জনবল নিয়োগ পেলে স্বাস্থসেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে। আশাকরি শিগগিরই জনবল সংকটের সমস্যার সমাধান হবে। 

টিএইচ