শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

মাধবপুরে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী স্যালাইন সংকট

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি 

মাধবপুরে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী স্যালাইন সংকট

হবিগঞ্জে মাধবপুরে হঠাৎ করে বেড়েছে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা ও স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। 

এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহতের পাশাপাশি কলেরা প্রতিরোধক আইভি স্যালাইন বাজারেও সংকটের পাশাপাশি দাম ও বেশি যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। সংকট নিরসনে চলতি মৌসুমে জনস্বাস্থ্য বিভাগের কাছে কলেরা স্যালাইনের চাহিদা পাঠানো হয়েছে জানিয়েছেন মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়াক আল মামুন। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডা. তারেকুজ্জামান জানান, গত ১০ দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুই শতাধিক বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শয্যা না পেয়ে অনেকেই ওয়ার্ডের বাইরে মেঝেতে শুয়ে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শিশু রোগীদের এক শয্যায় দুই থেকে তিনজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। 

প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে পনেরো অধিক ডায়রিয়া রোগী। গত রোববার হাসপাতালে বেডে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। অন্য অন্য রোগী থাকায় কিছু রোগীকে মেঝে ও ফ্লোরে রাখা হয়েছে। হঠাৎ রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে স্যালাইন সংকট। একদিকে বাজারে ওষুধের দোকানেও দেখা দিয়েছে কলেরার স্যালাইন সংকট। যা পাওয়া যাচ্ছে তার দামও নেয়া হচ্ছে বেশি। 

এদিকে সরকারি হাসপাতালে স্যালাইন না পেয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। শয্যা ও স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডা ইশতিয়াক আল মামুন বলেন, এই মুহূর্তে রোগীদের সচেতনতার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তবে রোগীর চাপ অনেক বেশি, সেই তুলনায় স্যালাইন সংকট প্রচুর। 

আমরা চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি, আশা করি দ্রুত সমাধান হবে। হবিগঞ্জে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নূরুল হক বলেন, আমি আপনার সঙ্গে কথা বলার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সঙ্গে কথা বলছি উনি সংকটে কথা বলেন। শিগগিরই মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কলেরা প্রতিরোধক আইভি স্যালাইন পাঠানো হবে।

শীত পর গরমে আগমনের কারণে দিনে তীব্র গরম ও তাপমাত্রা বেশি কারণেই ডায়রিয়ার আক্রান্তের হার বাড়ছে। শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে একটু বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়াক আল মামুন।

টিএইচ