এক সময় কুমারদের হাতের কারুকার্যে তৈরি পরিবেশবান্ধব মাটির জিনিসের কদর ছিল গ্রাম বাংলার সব মানুষের কাছে। আধুনিকতার ছোঁয়া ও সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে বাজারে অ্যালুমিনিয়াম, কাঁসা-পিতল, স্টিল, কাস্টিংসহ বিভিন্ন মেটালের সামগ্রীর ভিড়ে প্রায় বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎ শিল্প।
দেশের বিভিন্ন স্থানের মত নওগাঁর মান্দায় হারিয়ে যেতে বসেছে মৃৎ শিল্প। বদলে যাচ্ছে কুমারপাড়ার দৃশ্য। এক সময় এ শিল্পের কারিগরেরা ব্যাস্ত থাকতো দিন রাত। সময়ের পরিবর্তনে কুমারপাড়ার চাকা আজ আর তেমনটি ঘোরে না। মাটির ব্যাংক, পুতুল, হাঁড়ি-পাতিল, সরা, ঘটি, ঢোকষা, কলসি, বদনার কদর এখন প্রায়ই শূন্যের কোটায়।
একটা সময় এ শিল্পের মালামাল স্থানীয় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও সরবরাহ করা হত। কুমার শ্রী অসিত চন্দ্র পাল জানান, আগের মত আর মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা নাই ব্যবসা তেমন হচ্ছে না দিন যাওয়াই এখন কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাপ দাদার পেশা তাই করতে হচ্ছে অন্য কাজ তো করতে পারিনা।
আরেকজন জানান, তাদের জিনিসপত্রের বেচাকেনা নাই আর্থিকভাবে সমস্যায় আছি। আমরা কাজ করছি জীবিকার তাগিদে তবে আমরা কোন সরকারি বা বেসরকারি সহযোগিতা পায় না। সচেতন মহলের দাবি এ মৃৎশিল্প ধরে রাখতে হলে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে নওগাঁ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের (বিসিক) শামীম আক্তার মামুন উপ ব্যবস্থাপক আমার সংবাদকে বলেন, মৃৎশিল্প টিকিয়ে রাখতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য আধুনিক হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ, স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান, কুটির শিল্প মেলার মাধ্যমে বিভিন্ন আধুনিক হস্তশিল্পের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া ইত্যাদি।
তিনি আরো বলেন, মৃৎশিল্প কারিগররা যদি স্বল্প সুদে ঋণগ্রহণ করতে চাই তাহলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমি তাদের ঋণের ব্যবস্থা করে দেব।
টিএইচ