শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

মেরিন ড্রাইভ ভাঙন রোধে কাজ করছেন সেনাবাহিনী

কক্সবাজার প্রতিনিধি

মেরিন ড্রাইভ ভাঙন রোধে কাজ করছেন সেনাবাহিনী

নিম্নচাপ ও শ্রাবণের ভরা পূর্ণিমার প্রভাবে গত কয়েক দিন ধরে উত্তাল রয়েছে সাগর। স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি কয়েক ফুট উচ্চতায় আছড়ে পড়ছে তীরে। ফলে উপকূলে দেখা দিয়েছে জলোচ্ছ্বাস। এতে তলিয়ে গেছে অনেক নিম্নাঞ্চল। 

সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে পর্যটনের অনিন্দ সৌন্দর্য মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ অংশে প্রায় ১৫টি স্পটে আড়াই কি.মি. তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। মারাত্বক ভাঙনের কবলে পড়েছে টেকনাফের সাবরাং অংশেও। ভাঙন রোধে কাজ করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কক্সবাজার ইউনিট। বসানো হচ্ছে জিও ব্যাগ। 

গত শুক্রবার ও শনিবার জোয়ারের বাড়ন্ত পানির তীব্র ঢেউ তলিয়ে নিয়ে গেছে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন কয়েক কিলোমিটার ঝাউবীথির গাছ। এতে নেতিয়ে যাচ্ছে মেরিন ড্রাইভ ও সৈকতের ভাঙন রোধে বসানো জিও ব্যাগ। 

এ পরিস্থিতিতে সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট হতে কবিতা চত্বর, লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী, দরিয়ানগর, হিমছড়ি, পেঁচারদ্বীপ, ইনানী, পাথুয়ার টেক, টেকনাফ সৈকতের তীরে ভাঙন আরো তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। 

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা জানান, শুক্রবার ও শনিবারে দিনের জোয়ারে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ে সাগরের পানি। অন্য সময়ের চেয়ে ঢেউ কয়েক ফুট উঁচু হয়ে তীরে আছড়ে পড়ে। 

রেঞ্জের কস্তুরাঘাট, কলাতলী, হিমছড়ি বিটের আওতাধীন সৈকতের ডায়বেটিক পয়েন্ট, কবিতা চত্বর, লাবণী, দরিয়ানগর, হিমছড়িসহ মেরিন ড্রাইভ সৈকতের বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমাণ ঝাউগাছ উপড়ে পড়ে পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় সৈকতের ভাঙন নিয়ন্ত্রণে দেয়া বালিভর্তি জিও ব্যাগগুলো নেতিয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে সৈকততীরের নানা স্থাপনা। 

এদিকে, মহেশখালীর মাতারবাড়ীর পশ্চিম বেড়িবাঁধে ঢেউয়ের আঘাতে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ঘরবাড়ি ও জিওব্যাগ তলিয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে আমন ধানের চাষাবাদ। ইউনিয়নের নয়াপাড়া, সাইটপাড়া, পশ্চিম তিতা মাঝির পাড়া, মিয়াজীর পাড়া, বলির পাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ বেড়িবাঁধের পাশে জোয়ারের পানির সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে বাস করছেন। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়িবাঁধে জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধ সংস্কার করায় অল্প জোয়ারেই ভাঙনের কবলে পড়ে বলে জানিয়েছেন মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হায়দার। 

অপরদিকে, কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হালিম সিকদার বলেন, সাগরে বাড়ন্ত পানির তোড়ে ইউনিয়নের নিয়ারাকাটা, কায়সারপাড়া, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মলমচরসহ আশপাশের বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকেছে লোকালয়ে। 

পাউবোকে বিষয়টি জানানো হলে, ভরাকাটাল শেষ হলেই দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিয়েছে তারা। সতর্কসঙ্কেত ও সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারে অবস্থান করা পর্যটকদের সমুদ্রস্নান কিংবা পানিতে নামার ক্ষেত্রে সতর্ক করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সি সেইভ লাইফ গার্ড।

টিএইচ