বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯৭৫ মিটার চেইনেজে ৯৬.১০ মিটার পিএসসি গার্ডার সেতুটি প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২১ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গতবছরের জুনে সেতুটি নির্মাণের শেষ হওয়ার কথা ছিলো।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স কামার জানি সুমন’ সেতু নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার শুরু করলে বাধা দেয় গ্রামবাসী। ঠিকাদার সব গুছিয়ে নিয়ে চলে যায়। এখন ভৈরব নদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে মরচে ধরা রডে অর্ধনির্মিত সেতু। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে এ এলাকার পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পাঁচ গ্রামের মানুষকে ভোগাচ্ছে ব্রিজটা। একটা সাকো আছে সেটাও ভেঙে গেছে। কৃষক মাঠের ফসল নিয়ে আসতে পারছে না। যাতায়াত করতে হচ্ছে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে।
পাহারার দায়িত্বে থাকা উজুলপুর গ্রামের মো. গরিবল্লাহ বলেন, মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতনে তিনি দেখভালের দায়িত্ব পালন করছেন। সাত মাস কোনো বেতন পাননি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই সময় থেকে কাজ বন্ধ রেখেছেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কেউ না থাকায় কাজও ছাড়তে পারছেন না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান-মেসার্স কামার জানি সুমনের ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মোবাইল সংযোগ কেটে দেন।
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্রিজটি নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ২৩-২৪ আর্থবছরের শেষের দিকেও এর কাজ শেষ হয়নি। এ ব্রিজটা নিয়ে এ অঞ্চলের জনসাধারণের অনেক ভোগান্তির মধ্যে আছে। বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মেহেরপুর সদর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাব্বির-উল ইসলাম বলে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখিয়ে কাজটি বেশ কিছুদিন বন্ধ রেখেছিলো। এখন আবার কাজ শুরু করবে।
টিএইচ