ভয়-ভীতি ও উষ্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করার অভিযোগে বরগুনার আমতলী পৌরমেয়র মতিয়ার রহমান ও আমতলী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানার সুপারিশ করা হয়েছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বরগুনা-০১ নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান আহমদ সাঈদ স্বাক্ষরিত ১২ নম্বর অনুসন্ধান প্রতিবেদনে নির্বাচন কমিশনকে এ জরিমানার সুপারিশ করা হয়। উষ্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার আগেও একবার মেয়র মতিয়ার রহমানকে জরিমানার সুপারিশ করা হয়েছিলো।
অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিনে প্রশাসনের পূর্বানুমতি না নিয়ে আমতলী পৌরসভার জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৬শ থেকে ৭শ মানুষের সমাগম করে নৌকা মার্কার নির্বাচনী পথসভা করেন। সেখানে মেয়র মতিয়ার রহমান ও তার ভাই ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভয়-ভীতি ও উষ্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালান।
বক্তব্য চলাকালে মেয়র মতিয়ার রহমান ও তার ভাই মজিবুর রহমান বলেন, আমতলী তালতলী ও বরগুনা সদর নিয়ে গঠিত বরগুনা-০১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না, এমনকি তারা এজেন্ট দিতে পারবে না। যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘিত হয়।
আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি উল্লেখ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম ছরোয়ার ফোরকানের পক্ষে মো. হুমায়ুক কবির নামের এক ব্যক্তি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে প্রত্যেককে এক একটি বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানার সুপারিশ করেন।
এবিষয়ে আমতলী পৌরমেয়র ও আমতলী উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বরগুনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের যে বিষয়গুলো আমরা সরাসরি প্রত্যক্ষ করতে পারি সেখানে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি সরাসরি নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত সুপারিশ করে থাকেন নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশনা পেলে সেই জরিমানার সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
টিএইচ