ঈদকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, শপিং মল ও মার্কেটসমূহে ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ভিড় ততই বাড়ছে। তবে এবার রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রভাব পড়েছে গ্রামের মার্কেটগুলোতে। ক্রেতাদের অভিযোগ-অগ্নিকাণ্ডের দোহাই দিয়ে দাম বেশি নিচ্ছে বিক্রেতা।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিক্রেতারা জানান, সুতার দাম থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম বাড়তি। এর পরও গ্রামের মানুষের সাধ্যের মধ্যে রেখেই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এবছর মেয়েদের দৃষ্টি সোনিয়া ও নিহারা পোশাকে।
গত মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের আনন্দ পরিবারের সবাই ভাগাভাগি করে নিতে নতুন জামা আর বাহারি জুতা, কসমেটিকস কেনায় ব্যস্ত ক্রেতারা। বাচ্চাদের খেলনাসহ ঘরসজ্জার জিনিস ও কিনছেন। পছন্দের পোশাক কিনতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন তারা।
উপজেলার কালিকাপুর বাজারের বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ ঘুরে দেখা গেছে উপছে পড়া ভিড়। তেমনি উপজেলার ফকির বাজার, শঙ্কুচাইল, ভরাসার মার্কেটসহ উপজেলা সদরের বিপনি, ইসলাম কমপ্লেক্স, নিউ মার্কেট সর্বত্রই জনসমাগম অনেক বেশি।
মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের কথা মাথায় রেখেই উপজেলার শপিংমল, মার্কেটগুলোতে এবারের ঈদে বিভিন্ন ধরনের পোশাক তুলেছে বিক্রেতারা। এখানে থ্রি পিস ৬০০ থেকে সাড়ে তিন হাজার, শাড়ি ৫০০ থেকে সাড়ে তিন হাজার, লেহাঙ্গা ২০০০ থেকে ৫ হাজার, শাট ৫০০ থেকে দেড় হাজার, পাঞ্জাবি ৬০০ থেকে ২ হাজার, প্যান্ট ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে।
তাছাড়া বাচ্চাদের পোশাকও পাওয়া যাচ্ছে কম দামে। এবছর তরুণীদের নতুন আকর্ষণ ‘সোনিয়া’ ও ‘নিহারা’ পোশাকে। বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
টিএইচ