মৌলভীবাজার আদালতে নিষ্পত্তি হওয়া ২২৩টি মামলার আলামত ধ্বংস করেছে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ। গত রোববার মৌলভীবাজার জজ কোর্ট চত্বরে সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে বিভিন্ন মামলার জব্দ ও উদ্ধারকৃত আলামত ধ্বংস করা হয়।
ধ্বংসকৃত আলামতের মধ্যে মোট ৪৪২৪ ইয়াবা, ২০ কেজি ১৮০গ্রাম গাঁজা, ৩৮ পুরিয়া হেরোইন, ২৭ বোতল বিদেশি মদ, ০৭ বোতল বিয়ার, ৪৭ বোতল ফেনসিডিল, ২২৪ লিটার ৭৫০ মিলি চোলাই মদ, ৫,০০০ শলাকা ভারতীয় নাসির বিড়ি, জুয়া খেলার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি এবং বিভিন্ন অবৈধ ও নকল কসমেটিকস দ্রব্যাদি ছিল।
পাশাপাশি কোর্ট মালখানা অফিসারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ০২ পানির সেচ মেশিন, ০১ টি ২ আনা ০৩ রতি ০৮ পয়েন্ট স্বর্ণের চেইন, ০১ স্বর্ণের সাদৃশ্য চেইন, ০১টি বাইসাইকেল, ০১ টি পুরাতন ওভারলক সেলাই মেশিন, ০১ টি পুরাতন সিলিং ফ্যান, ০১ টি পুরাতন ব্যাটারি, ০১ টি পুরাতন সিএনজির চাকা, ০১ টি পুরাতন পানির ট্যাব, ০১ টি পুরাতন অ্যালুমিনিয়াম পাতিল নিলামের আদেশ প্রদান করেন।
এছাড়া ০১ টি ওয়ালটন মোটরসাইকেল আদালতের আদেশে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং ০১ টি পালসার মোটরসাইকেল জেলা গোয়েন্দা শাখা কর্তৃক নিলামে বিক্রয় করার পর কোর্ট মালখানা কর্তৃক চালানমতে ৩০ হাজার ৫১১ টাকা সরকারি কোষাগারে জমাপ্রদান করা হয়। তাছাড়া কোর্ট মালখানা অফিসারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ২৩ হাজার ভারতীয় রুপি এবং বাংলাদেশি ৮ হাজার টাকার জাল নোট বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করার অনুমতি প্রদান করেন।
কোর্ট মালখানা অফিসারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ০২ টি রিভলবার, ০২ টি পাইপগান, ০১ টি রিভলবারের গুলির খোসা, ০৬ টি শটগানের গুলির খোসা, ছোট বড় সব মিলিয়ে ০৪ টি ছুরি এবং ০১ টি রামদা পুলিশ লাইন্স অস্ত্রাগারে জমা প্রদানের অনুমতি প্রদান করেন।
এছাড়াও কোর্ট মালখানা অফিসারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বিভিন্ন দেশের সর্বমোট ১৯ টি ধাতব মুদ্রা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ঢাকায় প্রেরণ করার অনুমতি প্রদান করেন। এসময় মৌলভীবাজার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট মালখানা বিভাগ জগলুল হক, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. ইউনুস মিয়া, কোর্ট মালখানা অফিসার কৃষ্ণ কমল ভৌমিকসহ কোর্ট পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন
টিএইচ