দেশের একমাত্র বিভাগীয় সদর ময়মনসিংহ থেকে রাজধানী ঢাকার সাথে সরাসরি যোগাযোগের কোনো এক্সপ্রেস আন্ত.নগর ট্রেন নেই। বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেনের বগি ও কয়েকটি সিটের ওপর ভরসা করেই চলছে হচ্ছে বিভাগীয় সদরের ট্রেনযাত্রীদের। ফলে অধিকাংশ প্রত্যাশী ট্রেনযাত্রী ট্রেনে ভ্রমণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তাই এলাকার জনদাবির প্রেক্ষিতে সকাল ও সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ ও ঢাকা থেকে দুই জোড়া আন্ত.নগর ট্রেন অবিলম্বে চালুর দাবিসহ অন্য দাবিতে রোববার (২১ মে) দুপুরে বিভাগীয় কমিশনারের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি এবং বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জনগুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো পূরণের লক্ষ্যে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। অবস্থান কর্মসূচিতে ময়মনসিংহের সর্বস্তরের নাগরিক অংশগ্রহণ করেন।
রোববার (২১ মে) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত বিভাগীয় কমিশনারের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচির অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ডাবল ও ডুয়েলগেজ রেললাইন স্থাপন, যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ ময়মনসিংহের মধ্য শহর দিয়ে বয়ে যাওয়া রেললাইনটি সমতল থেকে সরিয়ে উড়াল রেলপথ অথবা শহর থেকে স্থানান্তর করতে হবে, ময়মনসিংহ থেকে সিলেট ও কক্সবাজার পর্যন্ত আন্ত.নগর ট্রেন চালু করা, শেরপুর পর্যন্ত রেললাইন সমপ্রসারণ, তিন হাজার শয্যাবিশিষ্ট আন্তর্জাতিকমানের হাসপাতালসহ ময়মনসিংহ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ময়মনসিংহে ইঞ্জিনিয়ারি, টেক্সটাইল ও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, পরিকল্পিতভাবে ও টেকসই উপায়ে ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করতে হবে, বিভাগীয় সদর দপ্তরের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে, বাসা বাড়িতে তিতাস গ্যাসের আবাসিক সংযোগ অবিলম্বে চালু করতে হবে, প্রস্তাবিত শিশু হাসপাতালটির দ্রুত নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা ও মধ্য শহরের অবস্থিত ত্রিশাল বাস স্ট্যান্ডটি সরাতে হবে।
ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট এএইচএম খালেকুজ্জামানের সভাতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী নুরুল আমিন কালাম ও সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শিবির আহমেদ লিটনের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে জনদাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বক্তব্য পেশ করেন, নাগরিক আন্দোলনের নেতা অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত, কাজী রানা, ফেরদৌস আরা মাহমুদা হেলেন প্রমুখ।
টিএইচ