শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

যশোরে বিষাক্ত মদ্যপানে ৪ জনের মৃত্যু

যশোর প্রতিনিধি

যশোরে বিষাক্ত মদ্যপানে ৪ জনের মৃত্যু

যশোরে মদ্যপান করে ৪ জনের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও কয়েকজন। যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে তারা ওই নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করলেও বিষয়টি শুক্রবার রাতে জানাজানি হয়।

মৃতরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে ইসলাম (৪৫), শাহজাহান আলীর ছেলে জাকির হোসেন (২৯)। আবু বক্কর মোল্লার ছেলে আবুল কাশেম (৬৫), আব্দুল হামিদের ছেলে ইসলাম(৪৫)। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সিতারামপুর গ্রামের মনিরুদ্দীনের ছেলে বাবলু (২৮) এবং একই গ্রামের আনোয়ার মোড়লের ছেলে রিপন হোসেন মোড়ল (৩৬)।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের একটি মেহগনি ও লিচু বাগানে ওই পাঁচজন বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করেন। রাতেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজ নিজ বাড়িতে গ্রাম্য চিকিৎসকের চিকিৎসা নেন।

তবে অবস্থায় অবনতি হলে বৃহস্পতিবার ভোরে (২৬ জানুয়ারি) তথ্য গোপন করে ইসলামকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ইসলামক মারা যায়। এরপর পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ছাড়পত্র ছাড়াই মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে চলে যায়।
এদিকে, বাকী চারজন বাড়িতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার সকালে তারা একে একে যশোর হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে জাকির হোসেন দুপুর পৌনে একটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। এরপরই তাদের বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য পানের বিষয়টি জানাজানি হয়।

ঘটনা জানাজানি হলে হাসপাতালে ভর্তি বাবলু ও রিপন হোসেন হাসপাতাল ছেড়ে বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে যান। অপর অসুস্থ আবুল কাশেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শুক্রবার রাতে মারা যান।

যশোর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, স্বজনরা তথ্য গোপন করে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে রোগীদের মুখে গন্ধ থেকে বোঝা যায় অতিরিক্ত বা বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য পানের ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিন জানান, এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী অসুস্থ ও মৃতরা অতিরিক্ত বা বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্যসেবন করেছিলেন। তবে তাদের স্বজনরা সেই তথ্য গোপন করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়েই স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।

যশোর কোতোয়ালি মডেল ওসি তাজুল ইসলাম জানান, নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনে মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়ার খবর তারা পেয়েছেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা অন্যকেউ তাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। খবর পাওয়ার পর বিষয়টি তারা খোঁজখবর নিয়ে দেখছেন। কোতয়ালী থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে ক্ষতিয়ে দেখছে।

যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ডিডি হুমায়ুন কবীর খন্দকার বলেন, এরকম ঘটনা আমার জানা নেই। আপনি বলছেন বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
যশোরে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তদন্তটিম গঠন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না।

টিএইচ