ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে আবহমান গ্রাম বাংলার প্রকৃতিকে রাঙিয়ে অনেক ফুল ফুটলেও এখন আর তেমন চোখে পড়ে না রক্তলাল নয়নাভিরাম শিমুল ফুল।
কিন্তু কালের বিবর্তনে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে আগুন ঝরা ফাগুনে চোখ ধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের অপরূপ সাজে সজ্জিত শিমুল গাছ এখন বিলুপ্তপ্রায়।
এক-যুগ আগেও রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে কানাচে আর রাস্তার পাশে অনেক শিমুল গাছ দেখা যেত। প্রতিটি গাছে গাছে প্রস্ফুটিত শিমুল ফুলই স্মরণ করিয়ে দিত বসন্তের আগমনী বার্তা।
প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের অন্যতম মাধ্যম শিমুল গাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজ গুণ। গ্রামে শিমুল গাছ ওষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষ বিষ ফোড়া, আখের গুড় তৈরিতে শিমুলের রস ও কোষ্ঠ কাঠিণ্য নিরাময়ে গাছের মূলকে ব্যবহার করতো। শিমুল গাছ ৯০ থেকে ১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় এবং বেশ মোটাও হয়। নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে শিমুল গাছ দেড়শ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
এ গাছের প্রায় সব অংশই কাজে লাগে। এর ছাল, পাতা ও ফুল গবাদি পশুর খুব প্রিয় খাদ্য। বালিশ, লেপ ও তোষক তৈরিতে শিমুল তুলার জুড়ি নেই। অথচ বর্তমানে মানুষ এ গাছকে তুচ্ছ মনে করে কারণে-অকারণে কেটে ফেলছে। ফলে আজ বিলুপ্তির পথে গাছটি।
টিএইচ