রাজবাড়ী সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির (১১-২০ গ্রেড) শূন্য পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেষ্টা করে ভুয়া পরীক্ষার্থী দিয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের নতুনচর গ্রামের বেলায়েত হুসাইনের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে লিটন, বরিশালের ভোলা সদর থানার মেদুয়া গ্রামের সামছল হক খানের ছেলে মো. আমান উল্লাহ, কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের চর নারায়নপুর গ্রামের আ. রহিম মণ্ডলের ছেলে মো. আমিরুল ইসলাম।
সোমবার (০১ এপ্রিল) রাজবাড়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মুকিত সরকার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে গত ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির (১১-২০ গ্রেড) শূন্য পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেষ্টা করে ভুয়া পরীক্ষার্থী দ্বারা প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার সঙ্গে জড়িতদের রাজবাড়ী সদর থানার সিঙ্গার মোড় এলাকায় আবাসিক হোটেল ৭১ এর নিচ তলা থেকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রার্থীর নিকট থেকে প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার জন্য গ্রহণ করা নগদ ২৪ হাজার ৫শ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের চারটি ব্যাংক চেকের পাতা এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস করে প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার কাজে ব্যবহূত চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
পরে ভুয়া পরীক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন যে, তারা পরস্পর যোগসাজসে একজনের পরীক্ষা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যজনকে দিয়ে দেয়ায় এবং ইতোপূর্বে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে ও প্রতারণামূলকভাবে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে গ্রেপ্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় গত ৩১ মার্চ মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের গত রোববার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
টিএইচ