সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

রাজবাড়ীতে রেলের ৩৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীতে রেলের ৩৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

রেলের শহর রাজবাড়ীর পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতেই রেলমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনি এলাকা পাংশা থেকেই রেলের বেদখল হওয়া জমির উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। 

গত সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজবাড়ীর পাংশায় রেলের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালায় পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অভিযানের নেতৃত্ব দেন পাকশী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।

এ সময় রেলের লাল ফ্ল্যাগ উঠিয়ে ফেলে দেয়ার অপরাধে ও উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেয়ায় পাংশায় নবনির্মিত বিসমিল্লাহ টাওয়ারের ম্যানেজার নাসির উদ্দীনকে ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অবৈধভাবে রেলের জায়গা দখল করে শোরুম করায় আরেক সিরামিকস ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন রেলের এই কর্মকর্তা।

এদিকে রাজবাড়ী-২ আসনের এরমপি ও জেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি রাজবাড়ীতে এসে বিভিন্ন জনসভায় কথা দিয়েছিলেন রাজবাড়ীকে আবার রেলের শহর হিসেবে গড়ে তুলবেন। রেলের বেদখল হওয়া জমিগুলো উদ্ধার করবেন। রেলের শহর হিসেবে রাজবাড়ি জেলার পুরোনো ঐতিহ্য তিনি ফিরিয়ে আনবেন। এছাড়াও সারাদেশে রেলের যেসব জমি অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে সেগুলো উদ্ধার করবেন। 

পাকশী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, পাংশায় প্রায় ১৫০টি স্থাপনা রেলের জমির ওপর রয়েছে। আমরা আজকে ৩৫/৪০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। রমজান মাসে আরেকটি অভিযান চালানো হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা রেলের জমির ওপর যত অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ করে দেব।

তিনি আরও বলেন, স্টেশনের আশপাশে যারা অবৈধভাবে রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছেন, তাদের এক মাস আগে থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেয়া হয়েছে। মাইকিংও করা হয়েছে। প্রভাবশালীরা নোটিশের তোয়াক্কা না করায় অবৈধ স্থাপনা আজ ভেঙে দেয়া হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাংশা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান রুবেল, পাংশা মডেল থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার, পাকশী রেলওয়ে ডিভিশনের কর্মকর্তা, জিআরপি পুলিশসহ রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

টিএইচ