রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে চলাচল করা সকল আন্তঃনগর ট্রেনসহ চন্দনা কমিউটার ট্রেন খানখানাপুর রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবিতে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার (৩১ মে) সকাল ১০ টা থেকে খানখানাপুর রেল স্টেশনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয়রা। দুই ঘন্টা ব্যাপী চলে এ কর্মসুচি।
রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন বেলা সাড়ে ১১ টায় খানখানাপুর স্টেশনে পৌঁছালে রেল লাইনে লাল কাপর টানিয়ে ট্রেনের সামনে অবস্থান নেন তারা। প্রায় ১০ মিনিট পর বিক্ষুব্ধরা সরে গেলে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি।
এরুটে চলাচল করা তিনটি আন্তঃনগর ও দুটি কমিউটার ট্রেন খানখানাপুর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতির দাবি জানান কর্মসুচিতে অংশ নেয়া বিক্ষুব্ধ জনতা।
মানববন্ধনে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রশিদ মাহাতাব, আতিক আল আলম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ জেলা শাখার সভাপতি মাকসুদুর রহমান শাওন, ঢাকাস্থ খানখানাপুর সমিতির যুগ্ন আহবায়ক আলমগীর হোসেন, খানখানাপুর বাজার পরিষদের সভাপতি মামুনুর রহমান মামুন, খানখানাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাউদ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান সৌরভসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
এসময় বক্তারা বলেন, খানখানাপুর সহ আশপাশ এলাকার যাত্রীদের ঢাকা যাওয়ার সুবিধার্থে খানখানাপুর রেল স্টেশনে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন সহ সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবী জানিয়ে আসা হচ্ছে অনেক দিন ধরে। গত বছরের ৮ ডিসেম্বরে একই দাবিতে ট্রেন থামিয়ে কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া আন্দোলন থেকে।
তারই ধারাবাহিকতায় এ দাবিতে আবার মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে দেওয়া হয়। এরপরেও যদি এখানে যাত্রা বিরতি না দেওয়া হয় তাহলে আবার তারা পরবর্তীতে মানববন্ধন সহ আরো কঠোর কর্মসূচি দেবেন বলে হুঁশিয়ার দেন।
টিএইচ