নবনিযুক্ত আইজিপি মো. ময়নুল ইসলামের নির্দেশে রাজবাড়ী জেলার পাঁচ থানায় সীমিত পরিসরে থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুর্নাঙ্গ কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় জেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ সুযোগে ঘটছে ডাকাতি, লুটপাট ও ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধ।
রোববার (১১ আগস্ট) রাজবাড়ী জেলার ৫টি থানায় খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, থানার সেন্টি ও ডিউটি অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। তবে থানার বাইরে কোন কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। সেনাবাহিনীর সদস্য ও আনসার সদস্যরা থানা পাহারা দিচ্ছেন। থানার সামনের গেটও বন্ধ রয়েছে, তবে পকেট গেট খোলা রয়েছে।
রাজবাড়ী, পাংশা, কালুখালী, বালিয়াকান্দি ও গোয়ালন্দ ঘাট থানায় তাদের কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে কবে নাগাদ পুর্নাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হবে তাও কেউ বলতে পারছেন না।
গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এর আগে আন্দোলনকে ঘিরে দেশে অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে অনেক পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য নিহত হন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার সদস্য। ওই দিন বিকেলের পর থেকে দেশের বেশির ভাগ থানার পুলিশসহ বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতিতে চলে যান। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন পুলিশের নবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম।
এদিকে, ১১ দফা দাবিতে গত শুক্রবার জেলা পুলিশ লাইন্সে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন জেলার পুলিশ সদস্যরা। পরিস্থিতির জন্য দোষী পুলিশের শাস্তির দাবিও জানান। তারা ১১ দফা পূরণ না হওয়া অবধি ও পুলিশে সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত কাজে ফিরবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার জি.এম. আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাজবাড়ী জেলার ৫টি থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে। ডিউটি অফিসার ও সেন্টিরা দায়িত্ব পালন করছেন। থানার বাইরে এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।
টিএইচ