বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

রাজশাহীতে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত

রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীতে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত

নির্বাচনি সহিংসতা বা ইলেকট্রোরাল ভায়োলেন্স শূন্যের কোঠায় আনতে নগরীর একটি রেস্তোঁরায় আয়োজিত সংলাপে বক্তারা বলেন, ধর্মীয় শিক্ষাই পাল্টাতে পারে নির্বাচনি ও ধর্মীয় সহিংসতা। 

তাই আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যেভাবে দেশ স্বাধীন হয়েছে, সেভাবে সব ধর্মের মানুষকে মিলেমিশে একসঙ্গে বসবাস করতে হবে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক নেতা বাছাইয় দলগুলোর অনেক ব্যর্থতা রয়েছে। 

অনেক বিতর্কিত মানুষ রাজনৈতিক মনোনয়ন পেয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছেন। পরে তিনি সমাজের নানা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ান। দলগুলোর নেতা বাছাইয়ে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।

শনিবার (২২ জুলাই) দিনব্যাপী রাজশাহী বিভাগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনপূর্ব ও পরবর্তী ধর্মীয় সম্প্রীতি সুরক্ষায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সহায়তায় সংলাপটির আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রুরাল অ্যান্ড আরবান পুওর্স পার্টনার ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (রূপসা)।

রূপসার নির্বাহী পরিচালক হিরন্ময় মণ্ডলের সভাপতিত্বে প্যানেল আলোচক ছিলেন কাশফুল কোরআন ইনস্টিটিইট রাজশাহীর পরিচালক মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ, রাজশাহী পুরোহিত সোসাইটির সভাপতি আশোক সান্ন্যাল, বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় প্রচার সম্পাদক সুরেশ চক্রবর্তী, রাজশাহী চার্চের পাস্টার ইফরাইম হেমব্রম।
 
রূপসার প্রোগ্রাম অফিসার এসএম শাহারুজ্জামান সজীবের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য দীলিপ কুমার সরকার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক অসীত কুমার ঘোষ, ইমাম আব্দুর রাজ্জাক, রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা মামুন, সাংবাদিক মো. রিমন রহমান, শফিকুল ইসলাম, শিক্ষার্থী ইলিন সুমাইয়া জামান, মো. রুবেল মল্লিক, তামান্না তাবাসুম ইরানি, সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলর সুলতানা আহম্মেদ সাগরিকা, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সভাপতি নুকুল পাহাড়, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি সাবিত্রী হেম্রাম, এনজিও প্রতিনিধি শামসুল হক, দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি মুক্তি রানী দাশ প্রমুখ। এর আগে পাওয়ার পয়েন্টে কর্মসূচি উপস্থাপন করেন রূপসার প্রকল্প ব্যবস্থাপক সামিয়া জামান।

সংলাপে বক্তারা আরও বলেন, একটি দেশের মসজিদে হামলা চালিয়েছিল একদল ধর্মান্ধ মানুষ। সে ঘটনা নিয়ে আমাদের দেশে একই ধর্মের মানুষ ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টি করেছিল। এখানে আমাদের বুঝতে হবে একদল ধর্মান্ধ হয়ে অপরাধ করছে, কিন্তু আমাদের কেন অপরাধ করতে হবে? 

এক্ষেত্রে পারস্পরিক সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে সহিসংতা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হতো। এর জন্য প্রয়োজন পারিবারিকভাবে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। অন্য ব্যক্তির ধর্মীয় পোস্ট যাচাই না করে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তবেই সহিংসতা অনেকাংশে কমে আসবে। এই সংলাপটি শুধু বিভাগীয় শহরে নয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আয়োজন করার দাবি জানান অতিথিরা।

টিএইচ