শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

রাজারহাটে ব্রিজ ভেঙে চলাচলে ভোগান্তি

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি 

রাজারহাটে ব্রিজ ভেঙে চলাচলে ভোগান্তি

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে দূর্গারাম আবাসন প্রকল্পের পাশে খালের উপর ৩৬ বছর আগের একটি সরু ব্রিজের মাঝখানে ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দূর্গারাম আবাসন প্রকল্পের শতাধিক পরিবারসহ প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। 

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের দূর্গারাম আবাসন প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর রাজারহাট হতে আবাসন প্রকল্প পর্যন্ত সড়কটি পাকাকরণ করা হয়। এর আগে আবাসন প্রকল্পের অদূরে একটি খালের উপর দিয়ে যাতায়াতের জন্য ৩৬ বছর আগে কোটি ব্যয়ে সরু ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। 

ওই ব্রিজের উপর দিয়ে আবাসন প্রকল্পের পরিবারগুলো এবং আশপাশের প্রায় কয়েক হাজার পরিবার নিয়মিত যাতায়াত করে। ব্রিজটি সরু হওয়ায় মানুষ এটির উপর দিয়ে ভারি যানবাহন নিয়ে যেতে পারে না। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে কয়েকবার বন্যার কারণে আবাসন প্রকল্পের সড়কটি ভেঙে যায়। এমনকি সরু ব্রিজের দু’পাশের মাটি ধ্বসে পড়ে। বিকল্প পথ না থাকায় মানুষ কোন রকমে ওই পথ দিয়ে চলাচল করতে থাকে। 

এক পর্যায়ে সরু ব্রিজটির মাঝখানের পাটাতন ও র্যালিং ভেঙে খালে পড়ে যায়। ওই ব্রিজের উপর দিয়ে কোমলমতি শিশুরা যেতে পারে না। আবাসন প্রকল্পের পাশে দূর্গারাম আবাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও রয়েছে। সেখানে ওই এলাকার শিশুরা পড়ালেখা করে। কিন্তু ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ভয়ে ভয়ে শিশুরা পারাপার হচ্ছে। অনেকে খালে পড়ে যাওয়ার ভয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না। 

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন  কুমার রায় বলেন, মটর সাইকেল নিয়ে ব্রিজের উপর দিয়ে আসা যাওয়া করা যায় না। প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার ঘুরে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় ওপারের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আসছে না। 

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাজল কান্তি রায় বলেন, ব্রিজটি অতি পুরানো। কখনও সংষ্কার হয় নাই। এখন ভেঙে গেছে। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। 

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল আনোয়ারীসহ কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, রাজারহাট উপজেলা পরিষদ থেকে দূর্গারাম আবাসন প্রকল্পের দুরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার। সেখানে ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় আবাসনে যেতে ৭/৮ কিলোমিটার রাস্তা পারি দিতে হচ্ছে। 

গত রোববার এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা বলেন, এটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। নতুন বাজেটে ব্রিজটি নির্মাণ করতে গেলে কোটি টাকা লাগবে। 

টিএইচ