শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

রাজীবপুরে দুই ভাইসহ ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

রাজীবপুরে দুই ভাইসহ ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুসামা দেওয়ান ও তার দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে রাজিবপুর থানা পুলিশ। ৮ এপ্রিল দুপুর ২টায় ইউপি সদস্য আবুসামা ও তার ভাই আব্দুল বারীকে তাদের নিজ এলাকা উত্তর মরিচাকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

রাজিবপুর বাজার থেকে তার অপর ভাই হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা রেকর্ড করে রোববার (৯ এপ্রিল) ভোরে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

 গত ১৩ মার্চ রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুসামা দেওয়ান তার মা রোকেয়া বেগমের কাছে জোরপূর্বক জমি লিখে নেয়ার খবর পেয়ে বোন ভাগ্নেরা রাজীবপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে এসে বাধা দিলে তাদের মারধর করে আবুসামা ও তার ছেলে এবং ভাই ভাতিজারা। প্রায় ১৫ বিঘা জমি রয়েছে রোকেয়া বেগম এর নামে। 

ইতোপূর্বে আবুসামা এবং তার ভাইয়েরা মিলে সুকৌশলে ১০ বিঘা জমি লিখে নিয়ে সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। বাকি জমিও লিখে নেয়ার জন্য কৌশলে মাকে নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে আসে। বোন-ভাগ্নেরা বাধা দিলে তাদের পিটায় আবুসামা এবং তার ভাই-ভাতিজা ও ছেলেরা। 

এ ঘটনায় ভাগ্নে হাসান আলী বাদী হয়ে ইউপি সদস্য আবুসামাসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাজীবপুর থানায় অভিযোগ করে। ৮ এপ্রিল রাজীবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো স্থানীয় মাতাব্বরদের নিয়ে মীমাংসার জন্য বাদী বিবাদীসহ বৈঠকে বসেন। কাউকে তোয়াক্কা না করে বৈঠককে অবমাননা করে ইউপি সদস্য আবুসামা দেওয়ান এবং দলবল নিয়ে আবারো মারতে যায় বোন-ভাগ্নেদের। 

বৈঠকে উপস্থিত সবার সামনে স্থানীয় মাতাব্বরদের গালিগালাজ করে এবং বোন-ভগ্নেদের প্রাণে মারার হুমকি দেয়। বৈঠক থেকে মাতাব্বররা বিবাদী আবুসামা দেওয়ানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিলে থানায় খবর দিলে আবুসামা ও তার ভাই আব্দুল বারী সরকারকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার আরেক ভাই হযরত আলীকে রাজীবপুর বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 
  
এ মামলার বাদী হাসান আলী জানান, আমার মামা ও মামাতো ভাইয়েরা নানির কাছ থেকে জোরপূর্বক জমি লিখে নিচ্ছিল। খবর পেয়ে আমরা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে বাধা দেয়ায় আমাদের মারধর করেছিল গত ১৩ মার্চ। ফলে আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছিলাম।

রাজীবপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, মামলা হয়েছে, তিন আসামি গ্রেপ্তার করে কুড়িগ্রাম পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

টিএইচ