শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

রামপালে তীব্র লবণাক্ততার মধ্যেও আমন চাষে ব্যস্ত চাষীরা

রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 

রামপালে তীব্র লবণাক্ততার মধ্যেও আমন চাষে ব্যস্ত চাষীরা

রামপালে আমন চাষীরা চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তীব্র লবণাক্ততার মধ্যে আগাম বৃষ্টি ও অনুকূল পরিবেশ তৈরি হওয়ায় চাষীরা বীজতলা থেকে চারা তুলে মাঠে রোপণ করছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে কৃষকরা কাঙ্খিত ফলনের আশা করছেন।

রামপাল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছর এ উপজেলায় ৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হচ্ছে। গতবছর (২০২১-২২) আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় এবং বৃষ্টি খুব কম হওয়ায় এবং জমিতে লবণের মাত্রা বেশী থাকায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। 

ওই বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর। কিন্তু রোপণ হয়েছিল ৭ হাজার ৮৩৮ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪১২ হেক্টর জমির চাষাবাদ কমে যায়। তার আগের বছরে (২০২০-২১) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ২০০ হেক্টর। অর্জিত হয়েছিল ৮ হাজার ২২০ হেক্টর।

চলতি আমন রোপণে খরিপ-২ এর ২০২৩-২৪ সালের ব্লকওয়ারী রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে গৌরম্ভা ইউনিয়নে হাইব্রিড ৬০ হেক্টর, উফশী ৩৬০ ও স্থানীয় জাতের ৯০ হেক্টরসহ মোট আবাদ হচ্ছে ৫১০ হেক্টর। উজলকুড় ইউনিয়নে হাইব্রীড ৫০, উফশী ৩০০ ও স্থানীয়সহ মোট ৪৪০ হেক্টর। বাইনুলায় হাইব্রিড ১১০, উফশী ৬৬০ ও স্থানীয় ১৪০ সহ মোট ৯১০ হেক্টর। রামপাল সদরে হাইব্রিড ৮০, উফশী ৪৮০ ও স্থানীয় ১৪০ সহ মোট ৭০০ হেক্টর।  রাজনগরে হাইব্রিড ৫০, উফশী ৩০০ ও স্থানীয় ৮০ সহ মোট ৪৩০ হেক্টর।  হুড়কায় হাইব্রিড ৯০, উফশী ৫৪০ ও স্থানীয় ১৪০ সহ মোট ৭৭০ হেক্টর। পেড়িখালীতে হাইব্রিড ৯০, উফশী ৫৪০ ও স্থানীয় ১৫০ সহ মোট ৭৮০ হেক্টর। ভোজপাতিয়ায় হাইব্রিড ৪০, উফশী ২৪০ ও স্থানীয় ৭০ সহ মোট ৩৫০ হেক্টর। মল্লিকেরবেড়ে হাইব্রীড ৩৭০, উফশী ২ হাজার ২২০, স্থানীয় ৪১০ সহ মোট ৩ হাজার হেক্টর। বাশতলীতে হাইব্রিড ৬০, উফশী ৩৬০ ও স্থানীয় ৯০ সহ মোট ৫১০ হেক্টর জমিতে আবাদ হচ্ছে।

উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে হাইব্রিড ১ হাজার, উফশী ৬ হাজার ও স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৪০০ হেক্টর সহ মোট ৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিরও বেশি আমন আবাদের আওতায় আসবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওয়ালিউল ইসলাম জানান, আরও কিছু বৃষ্টি হলে, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আশানুরূপ ফলন মিলবে বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, সরকারিভাবে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পাওয়ার টিলার, রোপণ যন্ত্র, বীজ সারসহ পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি সমপ্রসারণ কর্মকর্তা, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষীদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছেন।

টিএইচ