নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মহাসড়ক জুড়েই রয়েছে চোরাই তেল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। একটি খুপড়ি ঘরের সামনে কিছু তেলের ড্রাম আর পাইপ ঝুলানো দেখলেই চুরি করে তেল বিক্রি করে দেয় অসাধু চালক। এসব অবৈধ কাজে সহযোগিতা করে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙিয়ে একটি চাঁদাবাজ চক্র।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও হাইওয়ে দখল করে নিয়েছে ডিবি পুলিশের পরিচয়দানকারী চোরাই তেলের সম্রাট আনোয়ার। ওখানে সে ছাড়া কেউ ব্যবসা করতে গেলে ডিবি পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে টাকা আদায় করে বলেও অভিযোগ করেন মাসুম নামে তেল ব্যবসায়ী।
জানা যায়, সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে এসব দোকানে প্রকাশ্যে চোরাই তেল নামানোর কাজ। অন্যদিকে এসব দোকান থেকে স্থানীয় হাট-বাজারে সরবরাহের দৃশ্যও চোখে পড়ে প্রকাশ্যেই। রহস্যজনক কারণে প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়ায় চোরাই তেলের রমরমা বাণিজ্য আরও প্রসারিত হচ্ছে।
শক্তিশালী হচ্ছে তাদের সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ, হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ, ভুলতা ফাঁড়ির পুলিশ ও কতিপয় ডিবি পুলিশের অসাধু সদস্য। জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা এসব স্পট থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলেন। আর এ কারণেই অবাধে চলে এমন চোরাই তেলের বাণিজ্য।
সূত্র জানায়, মালামাল পরিবহনের মহাসড়ক হিসেবে পরিচিত ঢাকা বাইপাস মহাসড়কে চোরাই তেল ছাড়াও অন্য পণ্য চোরাই সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। এসব চক্র প্রশাসনের অসাধু সদস্যদের ম্যানেজ করেই ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।
চোরাই তেল ব্যবসায়ী নাজমুল বলেন, মালবাহী ট্রাকের চালক ও আমাদের উভয় পক্ষের সমঝোতায় টাকা দিয়ে তেল ক্রয় করি। এখানে চোরাই বলে কিছু নাই। তেল বিক্রির অনুমোদন আছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পূর্বাচলে ইয়াসিনের ছাড়া কারোই লাইসেন্স নাই।
ডিপো লাইসেন্স একমাত্র ইয়াসিনের আছে। মাঝে মধ্যে আমরাও ইয়াসিনের মাধ্যমে বৈধ তেল দোকানে রাখি। তবে এসব দোকান চালাতে গিয়ে অনেককেই খুশি করতে হয়। হাইওয়ে সড়কে চোরাই তেলের বাণিজ্য বন্ধর বিষয় হাইওয়ে পুলিশের টিআইর দায়িত্ব পাওয়া খায়রুল বাশার বলেন আমি নতুন আসছি বিষয়টি দেখা হবে।
টিএইচ