বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে রুমা যাওয়ার প্রধান সড়কে রোনিন পাড়া যাওয়ার সংযোগ সড়কটি সড়ক নয়, যেন মৃতুফাঁদে পরিণত হয়েছে। কেএনএফের খুঁড়া গর্ত সড়কের প্রায় এক মাস হয়েছে। পুনরায় দ্রুত সংস্কার ব্যবস্থা না করাতে এলাকাবাসীর ও কৃষকদের বিপাকে পড়েছে।
রোনিন পাড়া ও পাইক্ষ্যংপাড়া এলাকার থেকে রোয়াংছড়ি সদর আসতে প্রায় ১৬ কিলোমিটার রাস্তার পায়ের হেঁটে ও উচ-নিচু পাহাড় ঢিঙিয়ে আসতে হয়। যানবাহন চলাচল করতে না পাওয়ায় সাধারণ মানুষের চলাচলেরও ভোগান্তি চরমে। এ রাস্তাটি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে জরুরি মেরামতে ব্যবস্থা গ্রহণ না করাই ক্ষোভ প্রকাশ করছে সংশ্লিষ্ট এলাকারবাসীদের।
কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্যগুলো সময়মতো বিক্রয় করতে না পারলে কাঁচামাল পচে যাবে। কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীরা ধারণা করছে।
এ ছাড়াই কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্যগুলো ক্ষতি হলে লাখ লাখ টাকা লস গুণতে হবে বলে জানা গেছে। খামতান পাড়া, ক্যাপ্লাংপাড়া, পাইক্ষ্যংপাড়া ও রোনিন পাড়া ওই এলাকার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রচুর ফলদ বাগান রয়েছে।
বর্তমানে উৎপাদিত ফলদ বাগানের ফলিত ফলগুলো পরিপক্ক হওয়ায় কেনাবেচা করা উপযুক্ত সময় বিক্রি করতে না পারলে লসের মুখে পড়বে কৃষক।
নাম বলতে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, গত ২৬ জুন পার্বত্য এলাকার গড়ে তোলার নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ক্যাপ্লাংপাড়া তিন রাস্তার মোর হতে পাইক্ষ্যংপাড়া যাওয়ার রাস্তা মাঝখানে পাঁচটি স্থানে চলাচল রাস্তাকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে বড় বড় ও গভীর গর্ত করে দেয়া হয়।
এতে যান চলাচলের বন্ধ হয়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ে। ফলে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যে কলা, আম ও রসে ভরা মিষ্টি আনারস ফলগুলো বেচাকেনা করতে সমস্যা পড়ে যায়।
বর্তমানের পাহাড়ের বাগানের হাজার হাজার টন আম সময়মতো বিক্রি করতে না পারায় গাছ থেকে পড়ে ধীরে ধীরে পচে যাচ্ছে। রাস্তাটি জরুরিভাবে মেরামত না করলে আরও ক্ষতি গুণতে হবে প্রান্তিক কৃষকের।
আম ব্যাপারী মো. কবির হোসেন, জামাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে বলেন পাহাড় এলাকার ঘুরে দেখা গেছে, ওই এলাকার প্রচুর আম ও আনারস বাগান আছে। বাগান দেখলে চোখ জুড়ে যায়।
কিন্তু করার কিছুই নেই। আমরা কিনতে চাইলেও কিনতে পারব না। কেননা রাস্তায় বড় বড় গর্ত আছে রাস্তাটি ঠিক করে না দেয়ার পর্যন্ত যানচল বন্ধ। তাই পণ্য নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। প্রাথমিকভাবে রাস্তাটি মেরামত করা জরুরি।
এ ব্যাপার জানতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিট নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাদকে একাধিকবার ফোন করে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
টিএইচ