নাটোরের লালপুরে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আছিয়া বেগম (৬৫) নিহতের ঘটনায় মামলার পর দুই নারীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানার পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলা বরবড়িয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ইউসুফ আলী (২০), মৃত ইয়ার উদ্দিনের ছেলে বক্কার আলী (৪৫), তার স্ত্রী হাজেরা বেগম (৩৮), মৃত আফসার উদ্দিনের ছেলে জনাব আলী (৪০), মৃত ইয়ার উদ্দিনের ছেলে মো. হান্নান আলী (৪৬), মৃত জবের আলী প্রাং এর ছেলে বদরুল ইসলাম বাদল (৬০) এবং মুন্নাফ আলীর স্ত্রী রেনুকা বেগম (৪১)।
গ্রেপ্তারদের বুধবার (২২ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বড়বড়িয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আছিয়া বেগমের (৬৫) মৃত্যু হয়। তিনি বড়বড়িয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সাফায়েত উল্লাহর স্ত্রী। ঘটনার পর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা সাফায়েত উল্লাহ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে লালপুর থানায় হত্যা মামলা করে। মামলার পর দুই নারীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা সাফায়েত উল্লাহ ও বক্কারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। গত মঙ্গলবার সাফায়েত উল্লাহর ছেলে শাহিন আলম ও রায়হানুল ইসলামকে নিয়ে মাঠে জমি চাষ করতে যান। এ সময় উভয় পক্ষের কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে আছিয়া বেগম (৬৫) প্রতিপক্ষের বাঁশের লাঠির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে লালপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালপুর থানার ওসি মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, মামলার পর দুই নারীসহ সাতজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের আটক করতে অভিযান অব্যহত রয়েছে। ’
টিএইচ