সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

লালপুরে তিন মাস না যেতেই দেবে গেছে সড়ক

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

লালপুরে তিন মাস না যেতেই দেবে গেছে সড়ক

লালপুর উপজেলার অত্যান্ত জনগুরত্বপূর্ণ ওয়ালিয়া-লালপুর প্রধান সড়কের কাজ শেষ হওয়ার তিন মাস না যেতেই বিভিন্ন স্থানে রাস্তা দেবে যাওয়াসহ ফাটল ধরে পিচ কার্পেটিং উঠে যেতে শুরু করেছে।

কাজে অনিয়ম, কর্তৃপক্ষের দুর্বল তদারকি ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় রাস্তাটি ভেঙে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এতে সড়কে চলাচলকারী এলাকাবাসীর দুর্ভোগ কমছে না বরং বাড়ছে। দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

স্থানীয়রা জানায়, ওয়ালিয়া থেকে লালপুর পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তাটি নির্মাণের জন্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু রাস্তার কাজ শেষ না হতেই ওয়ালিয়া থেকে গোপালপুর পৌরসভার মধুবাড়ি পর্যন্ত অন্তত ১৬ টি স্থানে রাস্তা দেবে গেছে। ফাটল ধরে পিচ কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। 

লতিফ নামের এক অটোভ্যান চালক বলেন, যে পরিমান বরাদ্দ ছিলো সে অনুয়ায়ী কাজ করেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠন। নিম্ন মানের কাজ করায় রাস্তাটির অনেক জায়গাই ভেঙে গেছে। কাজ ভালো হয়নি। 

ট্রাকচালক জামাল উদ্দিন বলেন, কাকে বলবো কে শুনবে। রাস্তার কাজ শেষই হতে পারছে না রাস্তা উঠে চলে যাচ্ছে। তাহলেই ভাবেন রাস্তার কাজ কেমন হয়েছে।

লালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী বলেন, দীর্ঘদিন প্রচেষ্টার পরে রাস্তাটি সংস্কার কাজ শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চরম গাফিলতির কারণে রাস্তাটির এই অবস্থা যা কখনেই কাম্য নয়। ইতোমধ্যে জেলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দ্রুত রাস্তটির সমস্যা সমাধানের জন্য বলা হয়েছে। 

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) নাটোরের উপ-সহাকরী প্রকৌশলী সুজীবন কুমার ঘোষ জানান, ওয়ালিয়া থেকে লালপুর পর্যন্ত ১০ কিলো ৮শ মিটার রাস্তায় প্রিয়োডিক মেইনটেইনেন্স প্রোগ্রামের (পিএমপি) আওতায় প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু হয় গত বছর। কাজটি রিনাইবুল বিল্ডার্স লিমিটেড নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পায়। নভেম্বর মাসে রাস্তার কাজ শেষ হয়।’

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রিনাইবুল বিল্ডার্স লিমিটেডের সাইড ইনর্চাজ অভি রাস্তার কাজে অনিয়ম বা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের সুযোগ নেই দাবি করে বলেন, গত বছরের নভেম্বরে ওয়ালিয়া-লালপুর রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে।

এই ১১ কিলোমিটার রাস্তায় যে কোন কারণে প্রায় ১৬ স্থানে ফেটে গেছে বা ভেঙে গেছে। সব মিলিয়ে ৫০ মিটারও হবে না। রাস্তার কাজে আমাদের তিন বছরের চুক্তি আছে। সিন্ধান্তও হয়েছে আমরা রাস্তা ঠিক করে দিবো।’

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান সরকার জানান, তিনি নতুন এসেছেন। সড়কটিতে সংস্কার কাজ করা হয়েছে। এই কাজের তিন বছরের গ্যারেন্টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের। যে কোন সমস্যা হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঠিক করে দিবে। 

টিএইচ