রংপুর বিভাগে মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবার পরিস্থিতি এখনও চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। প্রতি এক লাখ জীবিত জন্মে ১৬৩ জন মায়ের মৃত্যু হয় এবং প্রতি হাজার নবজাতকের মধ্যে ১৮ জন মারা যায়।
যেখানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ৭০ এবং নবজাতকের মৃত্যুহার ১২-তে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এতথ্য জানানো হয়। সভার আয়োজন করে জননী প্রকল্প। এতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় জানানো হয়, রংপুর বিভাগে ৯১ শতাংশ গর্ভবতী মা সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম গর্ভকালীন সেবা (এএনসি-১) গ্রহণ করলেও, মাত্র ৩১ শতাংশ মা চার বা ততোধিকবার এই সেবাগ্রহণ করেন। প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির হার ৬১ শতাংশ হলেও সরকারি প্রতিষ্ঠানে তা মাত্র ১৭ শতাংশ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে, ৩৭ শতাংশ প্রসব হয় বাড়িতে। সিজারিয়ান ডেলিভারির হার ৪৫ শতাংশ এবং স্বাভাবিক ডেলিভারি ৫৮ শতাংশ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর ইউএনও অভিজিৎ চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীপঙ্কর রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলাম। এছাড়াও সভায় জননী প্রকল্পের গভর্নমেন্ট রিলেশন অফিসার নজরুল ইসলাম ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অফিসার রেখা চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
টিএইচ