নড়াইলের লোহাগড়ার লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হুমায়ুন ঠাকুর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৯ মার্চ) মারা গেছে। নিহত হুমায়ুন ঠাকুর লোহাগড়া পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডের কচুবাড়িয়া এলাকার মৃত নিরু ঠাকুরের ছেলে। তিনি পেশায় একজন মাংস বিক্রেতা ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়ার লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা এলাকার ঢাকা বাস কাউন্টারের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৫ মার্চ লোহাগড়া পৌর এলাকার রাজুপুর গ্রামের ফারুক শেখের ছেলে হায়াতুরের নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একদল দূর্বৃত্ত দা, লাঠি, রামদা নিয়ে লক্ষ্মীপাশা ঢাকা কাউন্টার এলাকায় এসে আবদুল্লাহ ঠাকুর শিপলা ও রুমানকে মারধোর করে।
পরে দুপক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে লক্ষ্মীপাশা-মহাজন সড়কের লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের পূর্ব গেটের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দূর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্রে দিয়ে কুপিয়ে হুমায়ুন ঠাকুরকে (৫০) মারাত্মক জখম করে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে যশোর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই তাকে ঢাক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা দ্রুত তাকে প্রাইম হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে ৩ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৯ মার্চ) তার মৃত্যু হয়।
লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন রায় মাংস ব্যবসায়ী হুমায়নের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় হায়াতুর শেখ ও হামীম শেখ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় গত ৬ মার্চ দায়ের করা মামলাটি হত্যামামলায় রুপান্তরিত হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন আছে, পরিস্থিতি বর্তমান শান্ত বলে তিনি জানান।
টিএইচ