মুন্সীগঞ্জের উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধাদের গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এসময় হামলাকারীরা একটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এসময় ১১ জন আহত হয়েছে। গাড়ি ভাংচুর ও আহতরা সবাই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ মো. আব্দুর রশিদ শিকদারের সর্মথক। গত শুক্রবার রাতে লৌহজং উপজেলার মালির অংকন বাজার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় বাবুল মুন্সি ও বাবুল নামের দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়।
এছাড়াও তাদের গাড়ি চালক মো. শরি ও তাদের সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেল চালক মিঠুন বিশ্বাসসহ ১১ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় গাড়ি চালক মো. শরিফ ও মোটরসাইকেল চালক মিঠুন বিশ্বাসকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও দুই মুক্তিযোদ্ধাসহ অপর আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এঘটনায় শনিবার (১৮ মে) লৌহজং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আহতরা।
প্রত্যাক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, গত শুক্রবার রাতে লৌহজং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়া কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রচার-প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মালির অংকন বাজার এলাকায় পৌঁছলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত মুক্তিযোদ্ধাদের গাড়ি চালক মো. শরিফ বলেন, আমরা প্রচার-প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে চেয়ারম্যান প্রার্থী দোয়াত কলমের কর্মি সর্মথকরা লাঠিসোঁটা ও অস্ত্র নিয়ে আমাদের গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মারধর করে। এসময় আমি বাধা দিলে হামলাকারীরা আমাকে মেরে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীযরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
হামলার ঘটনায় লিখতে অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে লৌহজং থানার ওসি খন্দকার ইমাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
টিএইচ