বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং লুটপাটের জন্য সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। মেগা প্রকল্পের নামে ব্যাপক লুটপাট চালিয়ে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয় ক্যাডার বাহিনীতে পরিনত করেছিলো। বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক দল এ সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছিলো। ছাত্র-জনতা অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান ও শত শত শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে হাসিনা সরকারকে হটিয়ে দেশকে দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।
তিনি বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় অডিটোরিয়ামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ৪ শহীদসহ সব শহীদদের স্মরণে উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল আলম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. আতাউর রহমান ফরিদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইমাম হাসান আবু চাঁন চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল আওয়াল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুর্গাপুর উপজেলার নেতা রাতুল খান রুদ্র, রাসেল মিয়া, রেদোয়ান আহমেদ, তাজনীন জাহান পুণ্য ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা।
পরে দুর্গাপুরের ৪ জন শহীদ মাসুম বিল্লাহ, ওমর ফারুক, জাকির হোসেন ও সাইফুল ইসলামসহ ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে ৪ শহীদের পরিবারবর্গকে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
টিএইচ