চুুয়াডাঙ্গায় শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সাইফুল আমিন শীর্ষনের জামিন না মঞ্জুর করে যশোর শিশু সংশোধনাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এছাড়া বিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা থেকে ওই ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সাইফুল আমিন শীর্ষ সেচ্ছায় চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ (নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল) আদালতে হাজির হয়ে জামিনর আবেদন করে।
আদালতের বিচারক মুসরাত জেরিন সরকারি কাজে বাধাদান ও শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অপরাধে ছাত্রের জামিন নামঞ্জুর করে যশোর শিশু সংশোধনাগারে প্রেরণ করেন।
অপরদিকে, এঘটনায় মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিলসহ শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থী ও জাতীয় শিক্ষক ফোরামের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের সামনে ও চৌরাস্তার মোড়ে এক প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করা হয়। একই দাবিতে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছে।
গত রোববার ভিক্টোরিয়া জুবেলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি নির্বাচনি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনে বাঁধা দেয়ায় ও খাতা কেড়ে নেয়ায় পরীক্ষার্থী সাইফুল আমিন শীর্ষ তার শিক্ষক হাফিজুরব রহমানকে লাঞ্ছিত করে স্কুল থেকে পালিয়ে যায়।
এঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ শফিয়ার রহমান বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গায় সদর থানায় গত ৯ অক্টোবর মামলা করেন। ওই মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করে শিক্ষার্থী।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা জানান, অভিযুক্ত ছাত্রকে তার সকল পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে তার ছাত্রত্বের বিষয়টি কি হবে তা পরে জানানো হবে। তিনি আরো জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও ছাত্র শিক্ষকদের মধ্যে নিবিড় সম্পর্কের উন্নয়ন কিভাবে হয় সে বিষয়ে ম্যানেজিং কমটির আজকের বৈঠক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
টিএইচ