পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শাহরিয়ার আলম, এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম শুরু করেন। আইসিটি সেক্টর উন্নয়নের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের যাত্রায় বড় ভূমিকা রেখেছে।
রোববার (২১ মে) দুপুরের দিকে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আইসিটিতে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের জন্য আয়োজিত স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা, ২০২৩-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ ধরনের স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলার আয়োজন সম্ভাবনার নবদিগন্ত উন্মোচন করবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, শুধু চাকরির পেছনে না দৌড়ে দক্ষ মানবসম্পদে নিজেদের পরিণত করতে হবে। আজকের এই মেলায় ২৩টি স্টল রয়েছে।
যাদের মূল চাওয়াই হচ্ছে চারঘাট-বাঘার বেকার যুবক-যুব মহিলাদের কর্মসংস্থান তৈরি করা। যারা এই মেলায় চাকরি পাবেন না, তাদেরও বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং কাজের সুযোগ তৈরি করে দেয়া। বাংলাদেশের অনেকেই আজ আইসিটির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করার সুযোগ পাচ্ছেন।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের আজকের উন্নয়নের পেছনের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র আইসিটি। আইসিটি ক্ষেত্রে নীরব বিপ্লব ঘটেছে।
বর্তমানে এই খাত থেকে বাংলাদেশের আয় ১.৫ বিলিয়ন। এর পেছনের কারিগর সজীব ওয়াজেদ জয়। আমাদের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সজীব ওয়াজেদ জয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে তিনি দেশকে উন্নত ও স্মার্ট এবং জনগণকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম, পৌর মেয়র একরামুল হক, চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন প্রমুখ।
সব শেষে ২০ জন স্মার্ট নারী উদ্যোক্তার মাঝে প্রত্যেকের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপজেলার শিবপুর মৌজায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করেন তিনি।
টিএইচ