রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দরে বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দরে বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর

ভারতীয় পুলিশ শেরপুর জেলা পুলিশের কাছে মনির হোসেন (৪৫) নামের এক বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করেছে। গত বৃহস্পতিবার শেরপুরের নালিতাবাড়ী নাকুগাঁও স্থলবন্দরে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। মনির হোসেন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ি এলাকার পশ্চিম খারামুড়া গ্রামের মুনসের আলী মোছেরের ছেলে।

মরদেহ হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশ অংশে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) রায়হানা ইয়াসমিন, নালিতাবাড়ী থানার ওসি এমদাদুল হক ও শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস এবং ভারতীয় অংশে মেঘালয় রাজ্যের তোরা জেলার ডালু থানার ওসি দীন বন্ধু বর্মন উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মনির হোসেনের ছোট ভাই মিজানুর রহমান পরিবারের পক্ষে মনির হোসেনের মরদেহ গ্রহণ করেন।

এদিকে নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত মনির সপরিবারে ঢাকায় থাকতো। সে রাজমিস্ত্রির কাজ এবং তার স্ত্রী গার্মেন্টসে চাকরি করতো। এবার ঈদের ছুটিতে সে বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত ১লা মে রাত থেকে মনির নিখোঁজ ছিল। পরবর্তীতে পুলিশের মাধ্যমে তারা জানতে পারে মনিরের লাশ ভারতের একটি হাসপাতালে আছে।

এব্যাপারে শ্রীবরদি থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, নিহত মনিরের লাশ শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর কি কারণে মনিরের মৃত্যু হয়েছে সেটা জানা যাবে।

এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইদুর রহমান জানান, ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে মনির আহত অবস্থায় ভারতের ডালু প্রদেশে একটি স্থানে পরেছিল। পহেলা মে রাতে মনিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ডালু থানা পুলিশ। 

এরপর ২ মে ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরের মৃত্যু হয়। এদিকে মৃত্যুর আগে তার নাম ঠিকানা বলে যাওয়ায় ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশে তার পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানায়। তবে সে কি কারণে মারা গেছে তা নিশ্চিত নয়। এবিষয়ে ভারতের ডালু থানায় একটি হত্যামামলা রজু করা হয়েছে।

টিএইচ