গাজীপুরের শ্রীপুরে গ্রামবাসীর গণধোলাইয়ে সুলতান ডাকাত (৫৫) নিহতের ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫/৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছে নিহতের স্ত্রী রীনা। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ওই মামলা করেন। শ্রীপুর থানার ওসি আবুল ফজল মো. নাসিম বিষয়টি জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের বেড়াবাড়ী (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেন (৫০), দানিস (৪৬) এবং সোহেল (৪০)।
গণপিটুনীতে নিহত সুলতান উদ্দিন পাশের কাপাসিয়া উপজেলার সূর্য নারায়নপুর (নতুন বাজার) গ্রামের মৃত হাসু মুন্সির ছেলে। সে শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন।
আসামি মোশারফ হোসেনের বড় বোন ফুল মেহের (৫০) জানান, ডাকাত দলের সাথে থাকা শহীদুল্লাহর কাছে এই এলাকার কোন এক ব্যক্তির টাকা-পয়সার লেনদেন ছিল। ওই টাকা তার ছোট ভাই মোশারফ উঠিয়ে দিবে বলে কথা দেয়। ডাকাতদের কাছ থেকে কাটার, প্লাস, লোহার পাইপ এবং সুলতানের একটি মোবাইল পাওয়া গেছে। এগুলো পুলিশ জব্দ করে নিয়ে গেছে।
নিহতের স্ত্রী মামলার বাদী রীনা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে তার স্বামী সুলতান উদ্দিনকে গজারিয়া গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মো. হিরণ মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। পরে সকালে পাশের গোসিঙ্গা ইউনিয়নের বেড়াবাড়ী (পশ্চিম পাড়া) গ্রামে তাকে পিটিয়ে হত্যার খবর পেয়ে আমি থানায় গিয়ে লাশ সনাক্ত করি। তার স্বামী ইট-বালু (সাপ্লায়ার) ব্যবসা করতেন।
মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেন (৪৫) জানান, রাত আনুমানকি দেড়টার দিকে ৪-৫ জনের একদল ডাকাত বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় ডাকাতরা তার ছোট ভাই দানিছের ঘরের দরজার শিকল বাহির থেকে আটকিয়ে দেয়। শব্দ পেয়ে বাহিরে কে জিজ্ঞাসা করলে ডাকাতরা তার বড় ভাইকে বলে তুই ঘর থেকে বের হবি না। তোকে হত্যা করতে আসছি। পরে এলাকাবাসী ডাকাত সুলতানকে আটক করে গণধোলাই দিলে তার মৃত্যু হয়।
টিএইচ