রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

শ্রীপুরে গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেপ্তার

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

শ্রীপুরে গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেপ্তার

গাজীপুরের শ্রীপুরে কিশোরী গৃহকর্মীকে (১৪) জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া মামলায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামানকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। 

গত শনিবার রাতে শ্রীপুর পৌরসভার মার্কাজ মসজিদ সড়ক (কাঁচা বাজার) এলাকার নিজ বাসার চেম্বার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ভিকটিমের মা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা করে। শ্রীপুর থানার ওসি আকবর আলী খান বিষয়টি জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামান শ্রীপুর পৌরসভার মার্কাজ মসজিদ সড়ক এলাকার মৃত অ্যাড. আবুল হাসেমের ছেলে। রোববার (৩০ জুন) তাকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়। ভিকটিম ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা এবং তার বাবা রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। সে তার বাবা-মার সঙ্গে শ্রীপুরে ভাড়া বাসায় থেকে ওই চিকিৎসকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো। তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।

থানায় দায়েরকৃত মামলায় জানা যায়, গত ২১ জুন অভিযুক্ত চিকিৎসক তার বাসার গৃহকর্মীকে নিজ চেম্বারে নিয়ে পূর্বের ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা সখিনা বেগম বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমকে আসামির বাড়ি হতে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়।

ভিকটিমের মা জানান, গত দুই মাস আগে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে আমার পরিচয় হওয়ার পর সে আমার মেয়েকে তার বাসায় কাজ করার জন্য বলে। পরে আমি মেয়ের বাবার সঙ্গে পরামর্শ করে তার বাসায় মেয়েকে কাজ করার জন্য দিয়ে আসি। 

কয়েকদিন পর আসামি আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ওই ধর্ষণের ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে। গত শনিবার আমার এক আত্মীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও দেখতে পেয়ে ফোন করে জানায়। পরে আমি ওইদিন সন্ধ্যায় থানায় এসে লিখিত আভযোগ দিলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

শ্রীপুর থানার ওসি আকবর আলী খান জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের মা অভিযুক্ত চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করলে রাতেই তার বাসার চেম্বার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার (৩০ জুন) আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

টিএইচ