সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

শ্রীপুরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে ৩৬ স্কুলের কার্যক্রম

শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি

শ্রীপুরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে ৩৬ স্কুলের কার্যক্রম

মাগুরার শ্রীপুরের ৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে কার্যক্রম। প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলো অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। আর এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দারুণভাবে।

শ্রীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার শ্রীপুর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৮৪টি। এর মধ্যে ১১ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। 

এছাড়াও বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে ২৫ জন শিক্ষক চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। একইসঙ্গে ৩৪  সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে। বর্তমানে কর্মরত ৪০৭ জন সহকারী শিক্ষক।

উপজেলার ঘাসিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিবুল হকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বদলি ও অবসরজনিত কারণে এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হওয়ায় সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। 

এতে একজন সহকারি শিক্ষক প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় পাঠদানের জন্য শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না। অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ চার থেকে পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন। 

এর মধ্যে কোনো বিদ্যালয়ে যদি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হয়, তাহলে শিক্ষক সংকট দেখা দেয়। তার ওপর আবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে প্রতি মাসের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক দিন উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, ব্যাংকসহ বিভিন্ন অফিসে যাতায়াত করতে হয়; এতে পাঠদান ব্যাহত হয়। 

সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে স্কুলগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন অভিভাবকরা।

এ বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের এবং সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এছাড়াও নির্ধারিত ছকে প্রতি মাসের তথ্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়ে থাকি। 

আর যেসব শিক্ষক পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন, তাদের নামের একটি তালিকাও ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই প্রধান শিক্ষকের শূন্য থাকা পদগুলো পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। 

টিএইচ