শেরপুরের শ্রীবরদীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর পাচ্ছেন ভূমিহীন ও গৃহহীন হরিজন সম্প্রদায়ের ১৫টি পরিবার। উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের টেঙ্গরপাড়া গ্রামে নির্মাণধীন ঘরগুলোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
হরিজন পরিবারগুলোকে পুর্নবাসনের লক্ষ্যে ঘরের নির্মাণ কাজ দ্রুত করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার ঘরের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন এবং গুণগতমান ঠিক থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, উপজেলার রানীশিমুল ইউয়িনের হরিজন সম্প্রদায়রা দীর্ঘদিন থেকে ঝুপড়ি ঘরে অন্যের বসতবাড়িতে ও সরকারি খাস জমিতে বসবাস করতো। সামান্য বৃষ্টি হলে ঘরে পানি পড়তো। এছাড়াও হরিজনদের কেউ ঘর বা বাড়িভাড়া দেয় না।
ফলে তাদের জন্য মাথা গোঁজার ঠাঁই জোগাড় করা কঠিন ছিলো। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের পুর্নবাসনের উদ্যোগ নেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার। এর ধারাবাহিকতায় রানীশিমুল ইউনিয়নের ১৫টি হরিজন পরিবারে জন্য জমি ক্রয় করা হয়।
জমি ক্রয় ও ঘরের নির্মাণ কাজের সার্বিক তদারকি করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফতেখার ইউনুস। নির্মাণ কাজের গুণগত মান ঠিক রাখতে তিনি সর্বদা তৎপর ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার ঘরের নির্মাণ কাজ পরিদর্শণে গিয়ে জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে একজন মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। এরই অংশ হিসেবে শেরপুর জেলায় এই প্রথম জমি কিনে শ্রীবরদীর ১৫টি হরিজন পরিবারকে পুর্নবাসন করা হচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা আশ্রয়ণে বসবাসের মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনের পাশাপাশি আর্থ সামাজিক অবস্থারও উন্নয়ন ঘটবে।
জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের দেখে হরিজন পরিবারের সদস্যরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। এ সময় শেরপুরের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচািলক মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফতেখার ইউনুস, শেরপুরের সিনিয়র সহকারী কমিশনার জিন্নাত শহীদ পিংকী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল বাকীউল বারী, উপজেলা প্রকৌশলী মশিউর রহমান, সদর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খবিরুজ্জামান, রানীশিমুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সোহাগসহ উপকারভোগীরা।
টিএইচ