শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে একডজন নেত্রীর দৌড়ঝাঁপ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি 

সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে একডজন নেত্রীর দৌড়ঝাঁপ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত এমপির সম্ভাব্য তালিকায় কিশোরগঞ্জে  এক ডজন নেত্রীর নাম আলোচিত হচ্ছে। এমপিদের শপথ সম্পন্ন হওয়ার পর থেকেই সংরক্ষিত এমপি নিয়ে জোরদার আলোচনা চলছে। 

সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে শীর্ষ আ.লীগ নেতার স্বজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কেউ জনপ্রতিনিধির স্ত্রী এবং নারীনেত্রীরাও রয়েছেন। আর এসব আলোচিত মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন গণভবন থেকে দলীয় কার্যালয়ে।

কিশোরগঞ্জে অন্তত একডজন নেত্রী কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ করছেন বলে জানা গেছে। যোগাযোগ রাখছেন বিজয়ী এমপিসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও। সাধারণত ছয়টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে একজনকে সংরক্ষিত আসনের এমপি নির্বাচিত করা হয়।

কিশোরগঞ্জে ৬টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে একজন সংরক্ষিত এমপি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলা মিলিয়ে এ সংরক্ষিত আসনে এমপি পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন-একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপি যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জাকিয়া পারভীন মনি, দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপি ও কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আ.লীগের সভাপতি দিলারা বেগম আসমা, জেলা মহিলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিস বেগম, জেলা মহিলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মাহফুজা আরা পলক, কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তানিয়া সুলতানা হ্যাপি, কিশোরগঞ্জ জেলা আ.লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা মহিলা সংস্থার সভাপতি মানছুরা জামান নতুন, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য শায়লা পারভীন সাথী, কৃষকলীগ নেত্রী অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগম, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি কোহিনুর আফজল, জেলা উইম্যান অব চেম্বারের সভাপতি ফাতেমাতুজ জহুরা, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি ফৌজিয়া জলিল নেন্সি, জেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি শাহীন সুলতানা ইতি ও সাধারণ সম্পাদক তাসলিমা ইসলাম সুইটি। 

সংরক্ষিত আসন নিয়ে আ.লীগ নেতা-কর্মীদের ভাষ্য-‘দলের দুর্দিনে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে যারা নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়ে নির্বাচন সফল করেছেন এমন নেত্রীদের মধ্য থেকে মনোনয়ন দেয়া হোক।

দলের জেলা কমিটির একাধিক নেতা জানান, এমপি প্রার্থীদের মধ্যে কয়েকজন রয়েছেন পারিবারিকভাবেই দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। আবার কয়েকজন রয়েছেন বেশ নবীন। প্রার্থীদের কেউ কেউ দলের দুর্দিনে-সুদিনে দলের পতাকা ধরে রেখেছিলেন। 

আবার কেউ কেউ দলের সুবিধাজনক অবস্থা দেখে নতুন রাজনীতিতে নেমেছেন। দলটির একাধিক নেতা আরো জানান, এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী ভোটারদের উৎসাহিত করতে মাঠে যারা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন, তাদের মধ্য থেকে কাউকে এমপি করা হলে রাজনীতিতে ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে। পাশাপাশি জেলার রাজনীতিতে নারী নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে।

কিশোরগঞ্জ জেলা আ.লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. জিল্লুর রহমান জানান, সংরক্ষিত আসনের এমপির পদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে লবিংয়ের চেয়ে যোগ্যতা, ভূমিকা ও ত্যাগকেই সাধারণত বিবেচনা করা হয়। 

আ.লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। তার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও বিচক্ষণতায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। তাই তিনি এই বৃহৎ এলাকার জন্য যোগ্য নারীকেই এমপি বানাবেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

টিএইচ