খাদ্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার সাইলো সড়কের বর্তমানে বেহাল অবস্থা। সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কের প্রায় অধিকাংশ জায়গার ইট খোয়া উঠে গিয়ে অসংখ্য খানা খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন আরও একটি রাইস সাইলো উদ্বোধনের জন্য আসলে সে সময় সড়কটি আংশিক সংস্কার করা হয়। এরপর প্রায় সাত বছর অতিবাহিত হলেও খাদ্য বিভাগ সড়কটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি।
সাইলো সড়ক দিয়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি সাইলো (একটি গম ও একটি চাল) ও ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সারগুদামে মালামাল পরিবহনের জন্য অসংখ্য ট্রাক চলাচল করে।
এছাড়া এই সড়ক দিয়ে সান্তাহার পৌর শহর, সান্তাহার ইউনিয়ন ও আদমদীঘি সদর ইউনিয়নসহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করে। বর্তমানে সাইলো থেকে শুরু করে সান্তাহার শহরের খাঁড়ির ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের বেশির ভাগ স্থানে পাথর ইট ও খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
সান্তাহার পৌর শহরের ট্রাক মালিক আব্দুর সবুর বলেন, সাইলো ও সারগুদামে মালামাল পরিবহনের জন্য ওই সড়ক দিয়ে অসংখ্য ট্রাক চলাচল করে। বর্তমানে সাইলো সড়কের যে বেহাল অবস্থা তাতে করে কোন ট্রাক মালিক ওই সড়কে ট্রাক দিতে চায় না। চালকরাও ওই সড়ক দিয়ে ট্রাক চালাতে অনিহা প্রকাশ করেন।
সান্তাহার শহরের ট্রাক চালক সুমন হোসেন বলেন, সাইলো সড়কের চার ভাগের তিন ভাগ সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। মালামাল বোঝাই ট্রাক ওই সড়ক দিয়ে নিয়ে যেতে অনেক কষ্ট হয় কিন্তু বেশির ভাগ সময় সরকারি মালামাল বহন করার কারনে কষ্ট হলেও ওই সড়কে ট্রাক নিয়ে যেতে আমরা বাধ্য হই।
সান্তাহার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম আম্বিয়া লুলু বলেন, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকা সত্বেও কেন এই সড়কটি সংস্কার করা হচ্ছে না তা কারোও বোধগম্য নয়। তিনি দ্রুত সড়কটি সংস্কারের জন্য খাদ্য বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে সাইলোর অধিক্ষক শাহারিয়ার মো. সালাউদ্দীন মোবাইল ফোনে বলেন, অচিরেই কর্তৃপক্ষ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেবে। সাইলো সড়কের বেহাল অবস্থার বিষয়টি সংস্লিষ্ট কর্তৃক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
টিএইচ